কলকাতা টিভি ডিজিটাল: আগামিকাল, বৃহস্পতিবার গুজরাত (Gujarat) এবং হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভা ভোটের (Assembly Elections) ফল প্রকাশ হবে। একই সঙ্গে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেরও (By Poll) ফল বেরোবে বৃহস্পতিবার। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বুধবার জানিয়েছে, দুপুরের মধ্যেই ফল জানা যাবে। সকাল আটটা থেকে সর্বত্র ভোট গণনা শুরু হবে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট (Postal Ballot) গোনা হবে। কমিশনের তরফে যুগ্ম অধিকর্তা (মিডিয়া) অনুজ ছন্দক এক বিবৃতিতে জানান, গণনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পূর্ণ। সমস্ত গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) রাজীব কুমার, আরও দুই কমিশনার অনুপ চন্দ্র এবং অরুণ গোয়েল এদিন সমস্ত গণনা কেন্দ্রের প্রস্তুতি পর্ব পর্যালোচনা করেন।
হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ভোট হয়েছে নভেম্বর মাসে। গুজরাতের (Gujarat) ভোট হয় দুই দফায় ১ এবং ৫ ডিসেম্বর। হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই কেন গুজরাতের ভোট হল না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, গুজরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করার কথা ছিল। সেগুলি শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গুজরাতের ভোটের দিন ঘোষণা করে। কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির (BJP) প্রতি পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ ওঠে। হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাতে বিজেপিই ক্ষমতায় ছিল। হিমাচল প্রদেশে একবার বিজেপি, একবার কংগ্রেস (Congress) ক্ষমতায় আসে। সেই ট্র্যাডিশনই এবারও বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে চর্চা রয়েছে। গুজরাতে গত ২৭ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় বিজেপি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিজেপির বুলডোজার রাজনীতির লক্ষ্য দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো, তোপ মমতার
বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় হিমাচল প্রদেশে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে কাছাকাছি আসন দেওয়া হয়েছে। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী যে দলই জিতবে, খুব কম আসনের ব্যবধান থাকবে। আম আদমি পার্টি (AAP) অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে সমীক্ষার পূর্বাভাস। গুজরাতে বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে কংগ্রেস দ্বিতীয় এবং আপ তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে সমীক্ষাগুলির ইঙ্গিত। গুজরাতে ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ কম ভোট পড়েছে এবারের নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাত। তাঁরা দুজনেই গুজরাতের ভোট নিয়ে পড়ে ছিলেন। অনেক আগে থেকেই তাঁরা প্রচারে নামেন। সেই তুলনায় কংগ্রেস কিছুটা গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে গুজরাতের ক্ষেত্রে। আম আদমি পার্টি এবার গুজরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা ১৮২টির মধ্যে ১৮১টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি এবং আপের মধ্যে তলে তলে বোঝাপড়া হয়েছে তাদের ভোট কাটার জন্য। যদিও আপের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। যাই হোক, দুই রাজ্যের ফলাফল কী হয়, তা জানার জন্য যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।