মেদিনীপুর: এক শিশু নিখোঁজের ঘটনায় স্নিফার ডগ ও ড্রোন নিয়ে তল্লাশি চালাল পুলিশ। উপস্থিত হলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। পাঁচ বছরের শিশু অরণ্য মাঝি (Aranya Majhi) বুধবার দুপুর থেকে নিখোঁজ। অন্যান্য পদ্ধতিতে খোঁজার পাশাপাশি শনিবার স্নিফার ডগ নিয়েও একাধিক স্থানে তল্লাশি চলে। পুলিশ কর্তারা ড্রোন নিয়েও গ্রামে নজরদারি করলেন। তবে হতাশ হতে হয় এদিনও। পুলিশ জানিয়েছে, “হাল ছাড়ছি না”।গত বুধবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের নেপুরা গ্রামের ঘটনা। বাড়ির সামনে খেলার সময় নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করার পর বিকেলে গুড়গুড়িপাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান মেলেনি।
শনিবার সকাল থেকে নেপুরা গ্রামের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে যায়। তাঁরা ওই শিশুর খোঁজে পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়ার দাবি করেন। গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেপুরা এলাকায় মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: Beliator incident: নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধারে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে উত্তেজনা
গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশকে আরও তৎপর ও সক্রিয় হয়ে কাজ করতে হবে। অবরোধ তুলতে জেলা পুলিশের কর্তারা গেলেও কোনরকম ভাবে তা তোলা সম্ভব হয়নি। শনিবার দুপুর ২টোর পর পুলিশের ফোর্স আরও বাড়ানো হয়। গ্রাম ও মাঠ জুড়ে চলে আরও তল্লাশি। আনা হয় পুলিশের স্নিফার ডগ। পুলিশের আয়োজনে খানিকটা ক্ষোভ প্রশমন হয় গ্রামবাসীদের। অবরোধ ওঠে বেলা তিনটে নাগাদ। সকাল ৯টা থেকে থাকা দীর্ঘ যানজট তারপরে স্বাভাবিক হয়।
এরপর পুলিশ দুটি স্নিফার ডগ নিয়ে ওই শিশুটির বাড়িতে থাকা পুরনো জুতো ও জামা সোয়েটার শুঁকিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দুটি স্নিফার ডগ নেপুরা গ্রামের অলিগলি ও জঙ্গলে খোঁজ চালায়। তবে কোনও রকম সন্ধান মেলেনি। ক্ষান্ত হয়ে ফেরত যায় স্নিফার ডগ।
বিকেল চারটা নাগাদ ড্রোন নিয়ে পুলিশ আকাশপথে তল্লাশি শুরু করে। ওই শিশুটির বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি মাঠ ও বাঁশ বাগান সহ পাশাপাশি এলাকায় খোঁজ চালায়। গুড়গুড়ি পাল থানার ওসি, আনন্দপুর থানার ওসি, ডিএসপি (প্রশাসন) সব্যসাচী চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত সন্ধ্যা পর্যন্ত এই তল্লাশি চালান।
পুলিশের পক্ষ থেকে এই তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে গ্রামবাসী ও পরিবারের বিভিন্ন লোকজনকে জেরাও করছে পুলিশ। গ্রামের পাশে থাকা নদীর পাড় ও চরগুলিতেও খোঁজ অব্যাহত রয়েছে পুলিশের।