কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishik Banerjee) নাম বলার জন্য তাঁর উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাপ সৃষ্টি করছে বলে ফের অভিযোগ করলেন জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। বিষয়টি জানিয়ে তিনি ইডি (ED) সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতের বিচারককে চিঠিও দিয়েছেন। সেই চিঠি বুধবার কলকাতা টিভির কাছে আসে। একমাত্র কলকাতা টিভি সেই খবর সম্প্রচার করে বুধবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিচারক নিজেই এজলাসে সেই চিঠি প্রকাশ করে দেন। এর অর্থ হল, কলকাতার চিভির খবরেই আদালতও এদিন শিলমোহর দিল যদিও আগে কুন্তল ওই চিঠির কথা অস্বীকার করে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার কুন্তলও স্বীকার করেন, তিনি বিচারককে চিঠি দিয়েছেন। আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে বহিষ্কৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ফের বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেকের নাম বলার জন্য আমার উপর বারবার চাপ সৃষ্টি করছে। সেই কথাই আমি বিচারককে জানিয়েছি।
এদিন বিশেয আদালতের বিচারক কুন্তলের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, তিনি এই চিঠির কথা জানতেন কি না। আইনজীবী বলেন, , আমি ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে কথাই বলতে পারছি না। চিঠি দেখার পর আইনজীবী আদালতে আরও জানান, এর জন্যই ৪১ ডি ধারায় আইনজীবীর সামনে কুন্তলকে জেরা করার আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:Satyendar Jain | দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে
বৃহস্পতিবার আলিপুরের আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ মামলায় (Recuitment scam ) অভিযুক্ত কুন্তল এবং তাপস মণ্ডলের (Tapash Mandal) মামলার। এর আগে একাধিকবার তাপস কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথা বলেছিলেন। তাঁর দাবি, কুন্তলের মুখেই প্রথম কালীঘাটের কাকুর কথা শোনা গিয়েছিল। তাপস বলেছিলেন, কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিতে হয় বলে কুন্তল জানিয়েছিলেন। যদিও রপে কুন্তল কালীঘাটের কাকুকে চেননা বলে দাবি করেন। তাঁর মন্তব্য ছিল কাকুকে বলতে আমি শুধু আমার বাবার ভাইকেই চিনি। আর কোনও কাকুকে চিনি না। তাপস এবং নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের আর ওক বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তদন্তের গতি মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য কুন্তল নান কথা বলে তদন্তকারী সংস্থাকে বিভ্রান্ত করছে। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের কাকুর প্রসঙ্গ তোলা হলে বিরক্তিসূচক মুখভঙ্গি করেন কুন্তল। পরে মাথা নেড়ে বলেন, আমার আর কিছু বলার নেই।
প্রসঙ্গত, বুধবার ইঢি সিবিআইয়ের বিশেয আদালতের বিচারককে চিঠি দেয় কুন্তল। টিঠিতে অভিযোগ করে, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ইডি ও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর আরও অভিযোগ, কাগজে জোর করে তাঁকে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওই কাগজে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালীদের নাম। এমনকি তৃণমূলের এক সাংসদ ও মন্ত্রীরও নাম রয়েছে। আর সেই চিঠি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করল বিচারক।