বহরমপুর: ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের(Anganwadi Centre) খাবারে মিলল টিকটিকি (Lizard)। খাবার খেয়ে অসুস্থ ৪ শিশু (Child)। তাদের নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নওদার খানপুর বিশ্বাসপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Centre)। অভিভাবক এবং স্থানীয় লোকজন ওই কেন্দ্রে গিয়ে ব্যপক বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ (police) এবং প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
শিশুদের জন্য প্রতিদিনের মতো এদিনও ভাত, ডিম, ডাল রান্না হয়েছিল। এদিন ওই কেন্দ্রে কয়েকজন শিশু খাওয়াদাওয়া করে। এবং কয়েকজন রান্না করা খাবার নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল। ওই শিশুদের মধ্যেই একজনের খাবারে টিকটিকি মেলে। স্বাভাবিকভাবেই খাবারে টিকটিকি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরাও। তাঁদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর অন্ধকার, উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হয় বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ওই শিশুদের ওআরএস দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নওদার বিডিও সত্যজিৎ হালদার বলেন, “কয়েকজন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন:Union Budget 2023 : এবারের বাজেট থেকে মিডিয়া এবং বিনোদন খাতের ৫টি মূল প্রত্যাশা কী কী?
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নওদার বিডিও সত্যজিৎ হালদার এবং নওদা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।যদিও ওই কেন্দ্রের রাঁধুনির দাবি, রান্না করার সময় তিনি কোনও টিকটিকি দেখতে পাননি। এমনকি খাবার দেওয়ার সময়ও কোনও টিকটিকি নজরে আসেনি। তাহলে কী করে খাবারে ওই টিকটিকি পাওয়া গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নওদার বিডিও সত্যজিৎ হালদার বলেন, কয়েকজন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।