কলকাতা: বীরবাহা হাঁসদাকে পায়ের তলায় রাখি সম্প্রতি এই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে এবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বুধবার সকালে রেল অবরোধ করা হয়। অন্তত আধঘন্টা সময় ধরে রেল অবরোধ চলে। পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে অবরোধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ওই অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্যোগে।
যদিও কাজের দিনে এভাবে আধঘন্টা ট্রেনের লাইন অবরূদ্ধ থাকায় নাজেহাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেন বনগাঁ-শিয়ালদা সেকশনের অধিকাংশ রেলযাত্রীরা। এদিকে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেত্রী তথা জঙ্গলমহলের কন্যা বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অভিষেক জানিয়ে দেন যে শুভেন্দু নাকি বলেছিলেন বীরবাহা হাঁসদাকে (Birbha Hasnda) জুতোর তলায় রাখি। কিন্তু এই মন্তব্যের জন্য বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা কিছুই বলেননি। অভিষেকের প্রশ্ন, তাঁর এই ধরণের মন্তব্যের জন্য বিজেপি কোনও শীর্ষ নেতা ক্ষমতা চাইতে পারবেন? রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপি নেতৃত্বকে।
তিনি আরও বলেন, ওই মন্তব্যের কোনও নিন্দাও করা হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে। অথচ রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যের পর দল প্রথম দিনই স্পষ্ট করে দিয়েছিল এই মন্তব্য সমর্থন করা যায় না। তিনি আরও জানিয়ে দেন, তাঁর দলনেত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দুর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অমিত শাহ (Amit Shah) বা জেপি নাড্ডারা এজাতীয় কাজ করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন অভিষেক।তাঁর দাবি, “দুঘণ্টা আগে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে একরকম কথা বলেন, আবার তাঁর পরে অন্যরকম মতামত দেন। ওঁর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই।” ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের ধারণা, শুভেন্দু অধিকারীর একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।