নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এবং বজরং পুনিয়ার (Bajrang Punia) নেতৃত্বে কুস্তিগিরদের (Wrestler) মধ্যে ম্যারাথন বৈঠক শেষ হল। বুধবার মন্ত্রীর বাসভবনে হল এই বৈঠক। বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত হল, ১৫ জুন পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ করবেন না কুস্তিগিররা। এই মর্মেই কেন্দ্রের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁদের।
কেন্দ্রের তরফে কুস্তিগিরদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, ১৫ জুন চার্জশিট দেওয়া হবেই। পাল্টা কুস্তিগিররা প্রতিশ্রুতি দেন, ১৫ জুন পর্যন্ত কোনও রকম বিক্ষোভ দেখাবেন না। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পরে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, আমরা সবকিছু আলোচনা করেছি। ১৫ জুনের মধ্যেই সব হয়ে যাবে, সভাপতি নির্বাচন হবে ৩০ জুনের আগে।
বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) পদত্যাগ এবং গ্রেফতারির দাবিতে জানুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বিনেশ ফোগটের (Vinesh Phogat) মতো কৃতী অ্যাথলিটরা। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির যন্তর মন্তরে দীর্ঘদিন অবস্থান বিক্ষোভ করলেও উদাসীন ছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: WTC Final 2023 | ওয়ার্নার আউট, লাঞ্চে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৩ করল অস্ট্রেলিয়া
এরপর ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন আন্দোলনকারীরা সংসদের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। অলিম্পিক্স, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মতো প্রতিযোগিতায় পদকজয়ীদের রীতিমতো চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। এই ঘটনার পরেই আন্দোলন সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছয়।
ক্ষুব্ধ, অপমানিত কুস্তিগিররা তাঁদের পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই উদ্দেশে হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটে হাজির হন তাঁরা। নরেশ টিকাইত সহ একাধিক কৃষক নেতা তাঁদের নিরস্ত করেন। সে সময় পরিস্থিতি ছিল অগ্নিগর্ভ।
কেন্দ্রের তরফে কুস্তিগিরদের কথা শোনার প্রথম পদক্ষেপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত শনিবার (৩ জুন) কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপরেই আন্দোলনের উত্তাপ কমে। পুনিয়া, মালিক, ফোগটরা আন্দোলন স্থগিত করে কাজে ফেরেন। এরপর এদিন অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে হল ম্যারাথন বৈঠক। আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত দেখবেন কুস্তিগিররা। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।