গোরখপুর: উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক ঘটনা (Shocking Incident in Uttar Pradesh)। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের (Property Dispute) জেরে বাবাকে (Father) হত্যা করেছে ছোট ছেলে (Son)। ঘটনাটি ঘটেছে গোরখপুরে (Gorakhpur, UP)। রবিবার পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির বয়স ৬২ বছর। অভিযুক্তের বয়স ৩০ বছর। বাবাকে হাতুড়ির (Hammer) ঘায়ে প্রাণে মেরে ফেলার পর, তাঁর মৃতদেহ কেটে ছোট ছোট টুকরো করেছিল সে, এরপর তা স্যুটকেসে (Suitcase) ভরে লোপাট করার চেষ্টাতেও ছিল।
ছেলের হাতে খুন হওয়া বৃদ্ধের নাম মুরলিধর গুপ্তা (Murli Dhar Gupta)। তিনি তিওয়ারিপুর পুলিশ স্টেশনের (Tiwaripur Police Station) অন্তর্গত সূরয কুন্দ কলোনিতে (Suraj Kund Colony) থাকতেন। অভিযুক্তের ভাই প্রশান্ত গুপ্তা থানায় এসে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ গ্রেফতার করে খুনিকে। সুপারইন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ (সিটি) [Superintendent of Police (city)] কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই (Krishna Kumar Bishnoi) জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম সন্তোষ কুমার গুপ্তা ওরফে প্রিন্স (Santosh Kumar Gupta alias Prince)।
আরও পড়ুন: Stray Dogs Bite in Delhi: আলাদা ঘটনায় পথ কুকুরের কামড়ে মৃত্যু দুই ভাইয়ের
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, খুনের ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। সম্পত্তি (Property) নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার দিন বৃদ্ধ বাড়িতে একাই ছিলেন, সেই সুযোগে বাবার উপর চড়াও হয়েছিল অভিযুক্ত ছেলে।
যোগীরাজ্যের মর্মান্তিক এই অপরাধের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের বক্তব্য, “বাড়িতে একা পেয়ে অভিযুক্ত তার বাবার উপর হামলা চালায় হাতুড়ি নিয়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তারপর ছোট ছেলে সন্তোষ দাদার ঘর থেকে একটা স্যুটকেস বের করে আনে এবং মৃতদেহের টুকরো তাতে ভরে রাখে। এরপর, সেই স্যুটকেসটি বাড়ির পিছন দিকের রাস্তায় লুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত।” সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ আরও বলেছে, “অভিযুক্তের ভাই এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মৃত ব্যক্তির শরীরের টুকরো উদ্ধার করেছে এবং তা ময়নাতদন্তের (Postmortem) জন্য পাঠানো হয়েছে।” খুনের এই ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। বুদগাম জেলায় (Budgam district) একব্যক্তি একটি মেয়েকে খুন করার পর তাঁর মৃতদেহটিকে টুকরো টুকরো করে, তারপর সেগুলি বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রেখেছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ মার্চ মধ্য কাশ্মীরের সোইবাগ পুলিশ পোস্টে (Soibugh police Post) তনবীর আহমেদ খান (Tanveer Ahmad Khan) নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর বোন গত ৭ মার্চ কোচিং ক্লাসে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের রাউন্ড আপে দাঁড় করিয়েছিল। সেই সময় মোহন্দপোরা বুদগামের বাসিন্দা শাবীর আহমেদ ওয়ানি (Shabir Ahmad Wani) খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।