কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : আরিয়ান খান মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল অভিযোগ করেছেন তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু সই নয় তিনি আরিয়ান কাণ্ডে টাকার লেনদেনের মোট গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
সাক্ষী প্রভাকর সেইল জানিয়েছেন, এই ঘুষ নেওয়ার কথোপকথন তদন্তকারী অফিসার এবং এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের মধ্যে হয়েছিল। আর এই গোটা ঘটনায় তিনি কেপি গোসাভির যুক্ত থাকার কথাও জানিয়েছেন। কেপি গোসাভি হল সেই ব্যক্তি যিনি এনসিবির হেফাজতে আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন।
যে সেলফি মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল। প্রথমে সবার মনে হয়েছিল, ওই ব্যক্তি এনসিবির কর্মকর্তা। পরে জানা যায়, তিনি এনসিবির কেউ নন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক কিরণ পি গোসাভি।
আরও পড়ুন – জেলের খাবারে রুচি নেই আরিয়ানের,নির্দিষ্ট ২০ মিনিটের আগেই বেরিয়ে গেলেন শাহরুখ
এই কিরণ পি গোসাভিরই দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল। যাকে এনসিবির তরফ থেকে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মূল সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই কিরণ পি গোসাভি এবং তাঁর দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল। এবার এনসিবির বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন সেই কিরণ পি গোসাভিরই দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল।
প্রভাকর সেইলের দাবি, ১০ টি সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, ২রা অক্টোবরের রাতে আরিয়ানকে এনসিবির দফতরে নিয়ে আসার পর কেপি গোসাভি এবং স্যাম ডিসুজার মধ্যে কথোপকথন শুনেছিলেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছিল ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হবে। যদিও, ১৮ কোটিতে গোটা মামলা রফা হবে। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন – মাদক মামলায় জামিন মিলল না, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজতেই শাহরুখপুত্র
এছাড়াও তিনি জানান, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে কেপি গোসাভিকে কথা বলতে দেখেছিল সে। পরবর্তীতে গোসাভি একটা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে বলে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে এনসিবি। কেন্দ্রীয় সংস্থার সাফ কথা, সঠিক সময়ে জবাব দেবে তাঁরা।