নয়াদিল্লি: বৈবাহিক ধর্ষণ ব্যতিক্রমী। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমন বিধান বিরোধী মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার। ধর্ষণের ক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণকে আলাদা করে দেখানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানি ছিল আজ। সময়াভাবে তা সম্পন্ন না হওয়ায় বৃহস্পতিবার শুনানি।
ভারতীয় ফৌজদারি আইনের (IPC) ৩৭৫ এবং নয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ নম্বর ধারায় বিবাহিত দম্পতির মধ্যে সম্মতিহীন যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণের সংজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। স্ত্রী ১৫ বছরের কমবয়সি না হলে এমন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলতে নারাজ দেশের আইন।
আরও পড়ুন: ফের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
যৌন হিংসা এবং বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগের বিচার করার বিকল্প পথ আছে। তা সত্ত্বেও বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস হয়তো বৈষম্যমূলক এবং অত্যন্ত কঠোর বলে বিবেচিত হতে পারে বলে আদালতকে হলফনামায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government)। এই প্রসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন বলেও মনে করে কেন্দ্র। কারণ বিষয়টি যতটা না আইনি, তার চেয়েও বেশি সামাজিক। এর সঙ্গে আইনসভার নীতির প্রশ্নও জড়িত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এই বিতর্কে চারটি বিষয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে পেশ হয়েছে। ১, বৈবাহিক ধর্ষণকে ব্যতিক্রমী বলার ক্ষেত্রে দিল্লির হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায়। ২, বৈবাহিক ধর্ষণ ব্যতিক্রমী কেন, প্রশ্ন নিয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলা। ৩, স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে এক স্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী চার্জ গঠনকে কর্নাটক হাইকোর্টের সমর্থনকারী রায়। ৪, এই বিতর্কে যোগ দিতে চাওয়া বেশ কিছু আবেদন।
দেখুন অন্য খবর: