কলকাতা: ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে বাংলাদেশ (Bangladesh)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার হয়েছে। তবে এখনও পুরো দেশে পরিষেবা চালু হয়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে আংশিকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে দুটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে বলে তিনি জানান। সেই মতো রাতে চালু হয়েছে।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর সুপ্রিম কোর্টে জয় পেয়েছে ছাত্ররা। বাংলাদেশে চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ করতে হবে, রায় দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। থমথমে পরিবেশ বাংলাদেশে। আরও কয়েক দফা দাবি সরকারের কাছে রেখেছেন আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশ। অশান্তির ঘটনা রুখতে সে দেশে কার্ফু (Curfew) জারি করা হয়েছে। কার্ফুর মেয়াদ আরও ২ দিন বাড়ানো হল। তবে এর মধ্যেই বুধবার থেকে বাংলাদেশে অফিস খুলছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুলবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে সমস্ত অফিস। অন্য দিকে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কার্ফু (Curfew) জারি থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে এখনও স্বাভাবিক হয়নি আমদানি রফতানি
পাশাপাশি ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ব্রডব্যান্ট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। তবে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে না।
পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রের খবর, আন্দোলনে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতারির সংখ্যা ২,৫০০ পেরিয়ে গিয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে বিদেশ মন্ত্রক সর্বদা নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বাংলাদেশ থেকে ৪৫০০ জন পড়ুয়াকে ভারতে ফেরানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন