নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দফতরের সামনে থেকে চ্যাংদোলা করে অভিষেকদের প্রিজন ভ্যানে তুলল দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, কৃষি ভবন থেকে নেতা-নেত্রীদের আটক করা হয়েছে। তাদের নিয়ে মুখার্জি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে যাচ্ছেন অন্য নেতা, মন্ত্রীরা। চ্যাংদোলা করে অভিষেকে প্রিজন ভ্যানে তুলল দিল্লি পুলিশ।
এদিকে দিল্লির বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল বাংলায়। কৃষি ভবনে ধরনারত তৃণমূল নেতাদের আটক করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে জেলায় জেলায় দলীয় কর্মীরা পথে নামলেন। কলকাতায় মুরলী ধর লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে শাসকদলের কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। চলে স্লোগান, বিক্ষোভ। আসানসোল, কুলটি, দিনহাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় রাত এগারোটাতেও বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরা।
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য রাতে বলেন, আন্দোলন করতে গেলে এসব তো হবেই। বাম জমানায় বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। আজ দিল্লিতে কারও হাত ভাঙেনি, কারও পা ভাঙেনি। কেউ মারা যাননি। এর জন্য বিজেপির রাজ্য অফিস ঘেরাও করতে হবে? এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? যাই হোক, আগামী বছর আবার আমরা ক্ষমতায় আসব। এটা জেনে রাখুক তৃণমূল।