নয়াদিল্লি: মূল অভিযোগের শুনানিতে দেরির জন্য অভিযুক্ত দায়ী না হলে পিএমএলএ (PMLA) আইনের ধারা ৪৫ ব্যবহার করে তাঁকে আটকে রাখা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এবার জানালো দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বাভাবিক গতি ওই ৪৫ ধারা দ্বারা ব্যাহত করা যায় না। সব সংবিধানিক আদালতকে মৌলিক অধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। অভিমত বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরি’র।
আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দুটি শর্ত পূরণ হলে ওই ৪৫ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া যায়। প্রথমত, অভিযুক্ত ওই অপরাধ করেননি বলে আদালতকে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট হতে হবে। দ্বিতীয়ত, জামিন পেলে অভিযুক্ত দ্বারা কোনও অপরাধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ১৮ টা বিমানে বোমা রাখা হুমকি
যেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, সম্পর্কিত আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় অদূর ভবিষ্যতের শুনানি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সেখানে ওই ধারাটিকে হাতিয়ার করে অযৌক্তিকভাবে অভিযুক্তকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা চলে না। দ্বিতীয়ত, কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পিএমএলএ মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাবাস হতে পারে। তাই অভিযুক্ত কতদিন বন্দি আছেন, সেই বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ভূষণ স্টিল আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার তিওয়ারি এবং পঙ্কজ কুমারকে জামিন মঞ্জুর করে অভিমত বিচারপতি ওহরি’র।
দেখুন অন্য খবর: