বসিরহাট: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জোর করে জমি দখল যে একটা বড় সমস্যা, তা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার। সন্দেশখালি নিয়ে শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বলেন, সেখানে জমি দখল একটা বড় সমস্যা। রবিবার থেকে ওই এলাকায় ভূমি দফতরের ক্যাম্প বসবে। সেখানে দফতরের অফিসাররা স্থানীয় মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেবেন। ডিজি জানান, সন্দেশখালির যে সব জায়গায় দরকার নেই, সেখানকার ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন মহিলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের মতো তৃণমূল নেতারা বছরের পর বছর ধরে গরিব আদিবাসী মানুষের জমি জোর করে কেড়ে নিয়েছেন। সেই সব জমির জন্য কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। মাছের ভেড়িতে তাঁরা জোর করে নোনা জল ঢুকিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করা হয়েছে। মহিলাদের মাঝরাতে পার্টি অফিসে ডেকে হেনস্থা করা হয়েছে। শুরুতে শাসকদল সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। পরে উত্তর ২৪ পরগনার নেতারা বলেন, জোর করে জমি দখল করা হলে সেই টাকা দলের তরফ থেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এর জন্য দল স্থানীয় নেতাদের নিয়ে কমিটিও গড়েছে। সেই কমিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর করছে। আগামিকাল রাজ্যের তিন মন্ত্রী সন্দেশখালি যাবেন। তাঁরাও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। ৩ মার্চ শাসকদল জনসভা ডেকেছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে কমলের হাতেও কি কমল? আচমকাই দিল্লি যাত্রা
বিরোধী নেতারা বলেন, আমরা এতদিন ধরে যে সব অভিযোগ করছিলাম, পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তারা অবশেষে তাকেই মান্যতা দিলেন। সাধারণ মানুষ যে অভিযোগে সরব হয়েছেন, সেগুলিও কর্তারা মেনে নিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, আন্দোলনের চাপেই সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও খবর দেখুন