জলপাইগুড়ি: দীপাবলি মানেই প্রদীপের আলো। আচমকাই দাম বেড়েছে মাটির। দীপাবলির মরশুমে বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ির রাহুতবাগানের কুমারপাড়ার প্রদীপ শিল্পীরা। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে রাহুত বাগানের কুমারপাড়া এলাকা। আগে এই এলাকার শতাধিক বাড়িতে প্রদীপ সহ মাটির নানান সামগ্রী তৈরি হত। দিন বদলের জেরে চাহিদা কমেছে মাটির জিনিসের। তাই অনেকেই এই পেশা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কোনও মতে পারিবারিক পেশা নিয়ে টিকে রয়েছে মাত্র ১৫টি পরিবার। সারাবছর মাটির ঘট, কলসি,হাড়ি তৈরি করে সামান্য উপার্জন করেন তারা। তবে কালীপুজোর প্রাক্কালে তারাও আশার আলো দেখতে পান কিছুটা। তার একমাত্র কারণ প্রদীপের চাহিদা। সারাবছর টুকিটাকি বিক্রি হলেও এই সময়টায় প্রদীপের চাহিদা বেড়ে যায় অনেকটাই। চিনা আলোর ঝকমকানিতে কিছুটা ম্লান হলেও, করোনার পর থেকে ফের দেশি মাটির তৈরি প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। সে আশাতেই এবারো বুক বেধেছিলেন কুমারপাড়ার প্রদীপ শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী পৌঁছতেই বিক্ষোভ স্থানীয়দের, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ
প্রদীপ শিল্পীদের দাবি, আচমকাই প্রায় দু’হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে মাটির দাম। প্রদীপ তৈরিতে ভালো মানের এঁটেলে মাটি ব্যবহার করতে হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসে এই মাটি। গতবছর যেখানে এক লরি মাটির দাম ছিল সাতহাজার টাকা, এইবছর সেই মাটির দাম বেড়ে হয়ে নয় থেকে দশ হাজার টাকা। এর মূল কারণ মাটির বেশি চাহিদা, পাশাপাশি রাস্তায় পূজোর চাদার জুলুম এমনকি পুলিশি জুলমও হয়। তার জেরেই মাটির দাম হটাৎ বেড়ে গিয়েছে। আর এর জেরেই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন প্রদীপ তৈরির কারিগররা। এই শিল্প এমনিতেই ধুকছে। নেই কোনো সরকারি সাহায্যও। এখন হস্ত চালিত চাকা দিয়ে মাটির সামগ্রী তৈরি করতে হয়। এই কাজ পরিশ্রম সাপেক্ষ সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয় সাপেক্ষ। সরকারের তরফে বিদ্যুৎ চালিত চাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল,তাতে কিছুটা সুবিধে হত প্রদীপ শিল্পীদের। যদিও এখনো তা মেলেনি। এই অবস্থায় মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রদীপ তৈরী করে লাভের লাভ কতটা থাকবে তা নিয়েই সংশয়ে রয়েছে কুমোরপাড়া।
অন্য খবর দেখুন