নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি স্টেশনে (New Delhi Station) পদপিষ্টের (Delhi Stampede) ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) ভক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হবে সোমবার। পূণ্য অর্জন করতে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ। মৌনি অমাবস্যায় পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ৩০ জন মৃত্যু হয় এবং ৬০ জন আহত হয়েছিলেন। শনিবার রাতে মহাকুম্ভে যাওয়ার ট্রেন ধরতে নয়াদিল্লি স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন শয়ে শয়ে যাত্রী। অত্যাধিক ভিড়, ভুল ঘোষণার জেরে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১৮ জন। এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীর প্রশ্ন, সমস্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা কি শুধু ভিআইপিদের জন্য? ভগবানের নামে কি সাধারণ মানুষকে কি ফেলে রাখা হয়?
জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের শীর্ষ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি ৷ আদালতে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক, প্রযুক্তি এবং এমনকি কৃত্রিম মেধাও রয়েছে। এত উন্নত প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও নয়াদিল্লি স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটল। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। সমস্ত প্রযুক্তি, সমস্ত ব্যবস্থাপনা ভিআইপিদের জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষের কী হবে? তাঁদের ফেলে রাখা হচ্ছে ভগবানের ভরসায়।
আরও পড়ুন: কুম্ভের জলে মলের ব্যাকটেরিয়া, চাঞ্চল্য রিপোর্ট প্রকাশ
আদালতে বিশাল তিওয়ারি অনুরোধ করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা রুখতে যেন গাইডলাইন তৈরি করা হয়। এই দুর্ঘটনা রুখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত রাজ্যের উচিত প্রয়াগরাজে সুবিধা কেন্দ্র স্থাপন করা ৷ যাতে নিরাপত্তা তথ্য সরবরাহ করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের নিজেদের রাজ্যের বাসিন্দাদের সহায়তা করা সম্ভব হয়। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক ভাষায় ঘোষণা করারও কথা বলা হয়েছে ৷ এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য অংশগ্রহণকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। ভিআইপি চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণও চাওয়া হয়েছে ৷
অন্য খবর দেখুন