বাংলা—৪ মেঘালয়–৩
(ফারদিন আলি মোল্লা–২, মহীতোষ রায়–২) (সাংতি জনাই, শানো তারিয়ান–২)
স্কোর বোর্ডে লেখা আছে সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ লিগে বাংলার জয়ের দুই কারিগর হলেন ফারদিন আলি মোল্লা এবং মহীতোষ রায়। কিন্তু যেটা লেখা নেই তা হল বাংলা যে শেষ পর্যন্ত মেঘালয়কে হারিয়ে প্রায় সেমিফাইনালে পৌছে গেল এর পিছনে কিন্তু তাদের গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিংয়ের ভূমিকাও কম নয়। ম্যাচের বয়স তখন আশি মিনিট। বাংলা ৪-৩ গোলে এগিয়ে। এই সময় পেনাল্টি পেল মেঘালয়। তখন গোল হলে ম্যাচ হয়ে যাত ৪-৪। বাকি সময়ে বাংলা আবার গোল করে ম্যাচ জিততে পারত কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু সে সবের কোনও কিছুই দরকার পড়ল না। কারণ মেঘালয়ের শানো তারিয়ানের শট দু হাতে রুখে দিলেন প্রিয়ন্ত। ফিরতি বলেও গোল করার সুযোগ ছিল শানোর সামনে। সেই শটটাও রুখে দিয়ে বাংলাকে জিতিয়ে দিলেন প্রিয়ন্ত।
আগের ম্যাচে কেরলের কাছে ০-২ গোলে হারার পর শুক্রবার জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবা সম্ভব ছিল না বংলার পক্ষে। কারণ মেঘালয় আগের ম্যাচে ২-২ ড্র করছে কেরলের সঙ্গে। এই ম্যাচ থেকে তারা যদি একটি পয়েন্ট পেয়ে যেত তাহলে বাংলার পক্ষে সেমিফাইনাল যাওয়া মুশকিল হয়ে যেত। তাই শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর আক্রমণ শুরু করে বাংলা। সাত মিনিটের মাথায় দিলীপ ওঁরাওয়ের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। নয় মিনিটে সুবিধেজনক জায়গা থেকে বল বাইরে মারেন ফারদিন। কিন্তু তেইশ মিনিটে দিলীপের সেন্টার থেকে চমৎকার ভলি মেরে গোল করেন ফারদিন। চল্লিশ মিনিটে মেঘালয়ের সাংতি জনাই গোলটি শোধ করে দেন। কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যেই বাংলা আবার এগিয়ে যায়। দিলীপকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে মেঘালয়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ফারদিন। বিরতির সময় বাংলা ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল।
৪৯ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় বাংলা। এবার বাংলাকে এগিয়ে দেন মহীতোষ রায়। কিন্তু মেঘালয় আবার একটি গোল শোধ করে। গোল করেন শানো তারিয়ান। ম্যাচ যখন ৩-২, তখন আবার গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন মহীতোষ রায়। কিন্তু নাছোড়বান্দা মেঘালয় তখনও আশা ছাড়েনি। আবার গোল করে শানো তারিয়ান স্কোর করেন ৩-৪। শেষ পর্যন্ত বাংলা জিতে যায় ওই ৪-৩ গোলেই। তিন ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট এখন ছয়। তাদের শেষ ম্যাচ রবিবার গ্রুপের একেবারে শেষে থাকা রাজস্থানের সঙ্গে।