বহরমপুর: বিডিওর চেয়ারে বসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ইদ্রিস দলবল নিয়ে সটান হাজির হন বিডিও অফিসে। খোদ বিডিওর চেয়ারে বসে তিনি দলীয় বৈঠক সারেন। তাতে অবশ্য ইদ্রিস কোনও অন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না। সেই বৈঠকের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও তার সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি।
বিরোধীরা বলছেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। দল আর সরকার যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে তৃণমূল জমানায়, তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। মুর্শিদাবাদ জেলার বিরোধী নেতাদের প্রশ্ন, সরকারি অফিসে দলীয় বৈঠক কী করে হতে পারে। বিডিও-ই বা কী করে এই বৈঠকের অনুমতি দিলেন।
ইদ্রিসের যুক্তি, এটা গ্রামীণ এলাকা। এখানে কম্পিউটার নেই। আমি যেখানে ভাড়া নিয়ে থাকি, সেখানেও কম্পিউটার, ইন্টারনেট নেই। তাই বিডিওকে বলেছিলাম, তাঁর অফিসে বৈঠকটা করা যায় কি না। উনি বললেন, অসুবিধার কিছু নেই। তাই এখানে বসেই বৈঠক করি। অনেকে এটা নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। কে কী বলছেন, জানি না। এর মধ্যে রাজনীতি টাজনীতি কিছু নেই।
ইদ্রিস বলেন, আমাদের দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সি অনেক ভালো ভালো কথা বললেন। আমাদের কী করা উচিত, কী বলা উচিত, তা নিয়ে বললেন। উন্নয়নের কথা বললেন। আমি এর মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছি না।
তৃণমূল বিধায়কের এই উদ্ভট যুক্তি শুনে বিরোধীরা অবাক। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল জমানায় সব সম্ভব। নবান্নে যদি দলবদলের অনুষ্ঠান হতে পারে, তাহলে বিডিও অফিসে বসে দলীয় বৈঠক হবে না কেন। আসলে এই আমলে সরকার আর দল এক হয়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন দলের নির্দেশে ওঠে বসে। তিনি বলেন, তবে ইদ্রিস আলির সম্পর্কে যত কম বলা যায়, ততই ভালো।
সম্প্রতি কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি কথা বলার জন্য ইদ্রিস আলিকে ধমক দিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে কম কথা বলার নির্দেশ দেন। এদিন বিডিও অফিসে বসে ইদ্রিস আলির অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেওয়া দল কীভাবে নিচ্ছে, সেটাই দেখার।