কলকাতা: এবার ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার স্পিকার বলেন, জ্যোতিপ্রিয় যা বলছেন, তাতে সারবত্তা আছে বলে আমার মনে হয়। তিনি বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন।
স্পিকার আরও বলেন, যে অভিযোগ বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা কতটা ঠিক, বলতে পারব না। তদন্তে নিশ্চয়ই সব জানা যাবে। তবে তাঁকে আমার বেশ খোলামেলা মনে হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি বেশ খোলা মনের মানুষ।
আরও পড়ুন: জাল মদ কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী
এদিকে বালুর বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মার একটি মূল্যবান ফ্ল্যাটের হদিশ মিলল কেষ্টপুরে। একটি অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্থ তলে রামস্বরূপের এই ফ্ল্যাট। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, মাঝে মধ্যেই রামস্বরূপ এখানে এসে থাকেন। সূত্রের খবর, কলেজ স্ট্রিটেও তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। তিনি বনমন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক হলেও কৃষি দফতরে কাজ করেন। প্রশ্ন উঠেছে, এই ফ্ল্যাট কেনার টাকা তিনি কোথায় পেলেন, কীভাবেই বা কৃষি দফতরে কাজ পেলেন। ইডির স্ক্যানারে রামস্বরূপও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার ভবানীপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কার্যত বালুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে আড়াল করেছেন। যদিও ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি একবার বালুর গ্রেফতারিকে ইন্ডিভিজুয়াল বিষয় বলে মন্তব্য করেন। এর আগে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বালু কী করেছেন, সেটা তাঁর বিষয়। আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় বালু দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। মমতাদি এবং অভিষেক সব জানেন। এর পরেই তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব ব্যাপারে মমতাকে জড়ানো হচ্ছে কেন। বালুকে খাদ্যমন্ত্রী করা কি মুখ্যমন্ত্রীর অন্যায় হয়েছে? একজনকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যদি বেইমানি করেন, তাঁর যদি পদস্খলন হয়, তার দায়িত্ব কি মুখ্যমন্ত্রীর?