সিউড়ি: বাসি খিচুড়ি খেয়ে শিশু সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩। অসুস্থ আরও ১৮। আর তারপরেই কার্যত উত্তাল হয়ে উঠল সিউড়ি সদর হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। এই ঘটনার জেরে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক বিধান রায়। কথা বলেন অসুস্থ ও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। পরে জেলা শাসক অসুস্থদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে রাজনগরে বাসি খিচুড়ি খেয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। পাশাপাশি অসুস্থ ছিলেন আরও ১৫ জন। গ্রামবাসীদের দাবি, শনিবার লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গ্রামে খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়া হয়। বাড়তি খিচুরি রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই বাসি খিচুড়ি খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড় প্রায় ১৫ জন। এরমধ্যে এক শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থদের প্রথমে রাজনগর ব্লক হাসপাতালে ও পরে সিউড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় আরও এক রোগীর। আর এরপর এ উত্তাল হয়ে ওঠে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালের ভিতরেই প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। মূলত চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মী পুজোর বাসি খিচুড়ি খেয়ে দুজনের মৃত্যু
এরই মধ্যে হাসপাতালে অসুস্থদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে আসেন জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি কথা বলেন মৃত ও অসুস্থদের পরিজনদের সঙ্গে। এমনকি তিনি পুলিশকেও নির্দেশ দেন গ্রামের যাঁরা যাঁরা এই খিচুড়ি খেয়েছেন তাঁদেরকে যেন দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তিনি কথা বলেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহার সঙ্গে। আর তারপর জেলাশাসকের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার মৌখিক আশ্বাসে ওঠে বিক্ষোভ ।
চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, খিচুড়িতে কোনওভাবে বীষক্রিয়ার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বমি এবং পায়খানার সমস্যা নিয়ে। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, খুব দুঃখজনক ঘটনা তিনজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: