সোনারপুর: তৃণমূল নেতা হোক বা কাউন্সিলর, তাঁদের দাদাগিরি বা দুর্নীতির অভিযোগ লিখিতভাবে জানাতে পারেন এই বাক্সে। এমনকী এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও দাবি থাকলে তাও জানাতে পারেন। এক কথায় আপনার কোনও সমস্যা থাকলে দ্বারস্থ হতে পারেন বিধায়কের। নাম পরিচয় সমস্ত কিছু গোপন রাখার আশ্বাস বিধায়কের। মানুষের আরও কাছে পৌঁছাতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম।
সোনারপুর উত্তর বিধানসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত অত্যন্ত জনবহুল গড়িয়া স্টেশন এলাকায় রাখা হয়েছে এই বাক্স। এই বাক্সের চাবি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে বিধায়ককে। তিনি নিজেই এই বাক্সের চাবি খুলবেন, যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়বে তা খতিয়ে দেখবেন। দলের নেতা কর্মী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়লে, তা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে জানান বিধায়ক। অভিযোগকারীর নাম, পরিচয় গোপন রাখারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই বাক্সে অভিযোগ জমা করতে শুরু করেছেন অনেকে। বিধায়কের এই ধরনের উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের বক্তব্য এই বাক্সে তারা গোপনে তাঁদের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা বিধায়ককে জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টেন্ডার বাতিল মামলায় ফিরহাদকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা রঞ্জন বৈদ্য কটাক্ষ করে বলেন, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে বলো এবং এক ডাকে অভিষেক চালু করা হয়েছিল। তারপরেও দুর্নীতি বেড়েছিল। দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী জেলে। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে এই বিধানসভা এলাকায়। সেই সমস্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিধায়ক কোনও স্টেপ নেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর আরও বক্তব্য, মানুষের থেকে তৃণমূল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তা ঢাকতে এই সমস্ত ব্যবস্থা বলে কটাক্ষ করেন তিনি।