কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র পেল জোকা-তারাতলা রুটের মেট্রো (Metro Rail)। যার অর্থ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্যে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ওই অংশের মেট্রো চলাচল। অর্থাৎ কমবেশি দুসপ্তাহের মধ্যে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে আরও একটি মেট্রো পরিষেবা। জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা চালুর ব্যাপারে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ায় শহরের একটি বড় অংশে যানজটের সমস্যা খানিকটা কমতে পারে বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১০ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্বে ওই রুটের মেট্রো পরিষেবার সমস্ত ধরণের পরিকাঠামো বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (Commissioner of Railway Safety)। মেট্রো স্টেশন, কন্ট্রোল প্যানেল, প্ল্যাটফর্ম, রেলপথ-সহ মেট্রো পরিষেবার যাবতীয় পরিকাঠামোর খুঁটিনাটি পরীক্ষা করেন তিনি। তারপরেই জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বার জোকা ও তারাতলার (Joka-Taratala Route ) মধ্যে সাড়ে ছ”কিমি দীর্ঘ মেট্রো পথে মহড়া শুরু করা হয়েছিল। ওই রুটে মোট ছয়টি স্টেশনকে নিয়ে আপাতত প্রথম পর্যায়ে পরিষেবা শুরু করতে উদ্যোগী হচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই রুটের ওই ছ’টি স্টেশন হল: জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা।
মেট্রো সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই লাইনে আপাতত একটি করেই ট্রেন চলবে। একটি ট্রেন (Train) অপর প্রান্তের শেষ স্টেশন থেকে ছেড়ে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর ফের সেই ট্রেনটি উল্টো দিকে ফিরে আসবে। প্রাথমিক স্তরে এভাবেই যাত্রী-পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশ্য কাজ শুরু করার জন্য স্টেশনগুলিকে (Station) তৈরি করা ছাড়াও আপ এবং ডাউন লাইন (Up & Down Line)ও ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে। জোকা-তারাতলা রুটের মেট্রো চালু করার ব্যাপারে স্থানীয় স্তরের পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যায়েও বারবার দাবি জানানো হয়েছিল। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। বেহালা এলাকায় এবার চালু হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা।
। যার অর্থ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্যে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ওই অংশের মেট্রো চলাচল। অর্থাৎ কমবেশি দুসপ্তাহের মধ্যে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে আরও একটি মেট্রো পরিষেবা। জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা চালুর ব্যাপারে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ায় শহরের একটি বড় অংশে যানজটের সমস্যা খানিকটা কমতে পারে বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।){kind=link}