আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ভভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ (Resign) করলেন কাঁথি (Contai) ৩ ব্লকের মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। রবিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় ওই তিন টিএমসি নেতার। বৈঠকের পর তিন নেতা জানান, তাঁরা পদত্যাগ করছেন।
গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) কাঁথিতে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের তিন নেতার কাজ নিয়ে। নির্দেশ দেন ইস্তফা দেওয়ার। তার পরের দিনই এই পদত্যাগের ঘটনা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) কাঁথিতে সভায় যোগ দেওয়ার আগে তাঁর কনভয় থামিয়ে মারিশদা গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন দিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছিলেন তিনি। অভিষেককে সামনে পেয়ে মারিশদা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। অনেকেরই পাকা বাড়ি হয়নি, এলাকায় জলের সমস্যা রয়েছে এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও গ্রামবাসীদের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চারদিনের দিল্লি সফরে মমতা, কী কী কর্মসূচি জেনে নিন
সেখান থেকে বেরিয়ে কাঁথির জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। তারপর সভামঞ্চে উঠে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন অভিষেক। হুঁশিয়ারি দিয়ছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে তিনি আইনের পথে হাঁটবেন। এমনকি, রাজ্যসরকারকেও এই বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছিলেন তিনি।
সেই নিয়েই রবিবারই কাঁথি ৩ ব্লকের বিডিও অফিসে সমস্ত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। বৈঠকের পরই জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেন অঞ্চল সভাপতি। এছাড়া, ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান প্রধান এবং উপপ্রধান। জানা গিয়েছে, আগামিকাল সোমবার বিডিও নেহাল আহমেদের কাছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দেবেন।