কলকাতা: কসবাকাণ্ডে (Kasba Incident) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের একের পর এক কুর্কীতি প্রকাশ্যে। এবার এই ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তাঁর আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক, এমন দাবিই করলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ সাজা যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তা হলে শাস্তি বিসেবে সেটাই দেওয়া হোক।
কসবা কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় এদিন সিট তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করল আদালত। পাশাপাশি কেস ডায়েরি তলব বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কেস ডায়েরি দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই। কসবা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করছেন নির্যাতিতার পরিবার। আদালতে এমনটাই জানালেন পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা এবং ঝুমা সেন। নির্যাতিতা SIT তদন্ত থেকে সাহায্য পাচ্ছে এবং পরিবারও SIT কে তদন্তে সহযোগিতা করছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন আদালতে।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, ‘আমরা এখন সিবিআই তদন্ত চাইছি না। কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা আছে’। তাঁর কথায়, ‘সমাজে মানসিক বিকারগ্রস্তরা জানুক, বিচারব্যবস্থা কী করতে পারে।’তিনি বলেন,’মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বাকি কথা বলার নয়। এটা সবাই বুঝতে পারছেন। কলকাতা পুলিশ আমাদের সাহায্য করছে। কলকাতা পুলিশের তদন্তে আমরা খুশি। কলকাতা পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে করছে’।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে মনোজিতের হুমকির অডিও ক্লিপ কলকাতা টিভির হাতে
কসবায় গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলিপুর আদালতে সে প্র্যাক্টিস করে। ৩১ বছর বয়সী মনোজিৎ বর্তমানে টিএমসিপির দক্ষিণ কলকাতা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুই ধৃত জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় কলেজেরই পড়ুয়া। কসবা কাণ্ডের (Kasba Incident) মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর (Kasba Case Main Accused Manojit Mishra) কু-কীর্তির প্রকাশ্যে। এবার কসবা কাণ্ডে মনোজিতের হুমকির অডিও ক্লিপ কলকাতা টিভির হাতে। শুধু তাই নয় কলেজের অস্থায়ী কর্মী হয়েও অফিসিয়াল গ্রুপ চালাত মনোজিৎ। কী করে এটা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে, তাতে শোনা যাচ্ছে রীতিমতো হুমকির সুরে মনোজিৎ বলছেন, আমরা সবার উপরে নজর রাখছি। সবাইকে চিহ্নিত করে রাখছি। গণধর্ষণের পর ওইদিন কাকে কাকে ফোন করেছিলেন মনোজিৎ? সেই সময় কী করছিল তারা? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তা জানতেই মূল অভিযুক্তের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ (Kolkata Police)। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর কলেজ থেকেই মূল অভিযুক্ত তৃণমূলেরই প্রভাবশালী এক ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন। তারপর তাঁর বাড়িতেও যেতে চান মূল অভিযুক্ত। কিন্তু সেই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা রাজি হননি। এবার প্রশ্ন, এই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা কে? পুলিশ তদন্ত করে জানতে চাইছে, এই তিনজন তারপর কোথায় গিয়েছিল। তারা প্রমাণ লোপাটের কোনও চেষ্টা করেছিল কি না।
অন্য খবর দেখুন