সোনারপুর: রণক্ষেত্র সোনারপুর। জানা গিয়েছে, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে তীব্র বিবাদ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক মহিলা ও নাবালক। সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পবিত্র হালদারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ।
বিগত ২২ বছর আগে তৎকালীন শাসকদল বামফ্রন্টের আমলে কুপাদ লস্কর নামে এক ব্যক্তিকে খাস জমিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। দীর্ঘদিন সেখানে না থাকলেও, সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে প্রতিবেশী তপন বৈদ্য ও প্রবীর বৈদ্যর পরিবারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে কুপাদ। অভিযোগ, কুপাদের পক্ষে কথা বলতে গিয়েই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেন পঞ্চায়েত সদস্য পবিত্র হালদার। সেই সময় তিনি স্থানীয়দের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরপর হুমকিও দেন তিনি। আক্রান্ত পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলাদের মারধর করা হয়। নাবালককে শাবল দিয়ে মারা হয়। বাধা দিলে বলা হয়— ‘পার্টি-পুলিশ যাকেই বলবি, দেখে নেব!’ এমনকি তাদের জমি জোর করে বিক্রি করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সাহিদা লস্কর, ঝন্টু, কুপাদ ও সাহিল।
আরও পড়ুন: জন্মের শংসাপত্র নিয়ে কড়া রাজ্য, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য ভবনের
পাল্টা কুপাদের দাবি, বৈদ্য পরিবারের লোকেরা তাদের গাছ কেটে দিয়েছে এবং ঘর করতে বাধা দিয়েছে। তারাও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। উভয় পক্ষের দাবি তারা বহু বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন। কিন্তু জমির দখল, রাজনৈতিক মদত, এবং হুমকি-হামলার অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি এখন প্রবল উত্তপ্ত। স্থানীয়দের আশঙ্কা, প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে বড় কোনও অশান্তি তৈরি হতে পারে। পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
দেখুন খবর: