ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে কফ সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif Cough Syrup) প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক এস রঙ্গনাথন (Ranganathan Owner Coldrif Cough Syru)। কাশির সিরাপ কোল্ডরিফ প্রস্তুতকারক শ্রীসন ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক জি রঙ্গনাথনকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ বৃহস্পতিবার চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করেছে। এই কাশির সিরাপ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১ হয়েছে।
৭৩ বছর বয়সি রঙ্গনাথন মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফার্মাসিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি ধীরে ধীরে এই কোম্পানির বিস্তার করেন। তাঁর কোম্পানির তৈরি একটি পুষ্টিবর্ধক সিরাপ চেন্নাইয়ে প্রথম বিখ্যাত হয়ে ওঠে। তাঁর সংস্থা শ্রীসান ফার্মাসিউটিকালের তৈরি কফ সিরাপ খেয়েই ইতিমধ্যে একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর থেকেই রঙ্গনাথনের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। খোঁজ দিতে পারলে নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। বুধবার মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে একটা বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই এস রঙ্গনাথনকে গ্রেফতা করা হয়। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলার পরই রঙ্গনাথনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিহার ভোটে AI ব্যবহারে কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের!
‘বিষাক্ত’ কফ সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ খেয়ে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ২০ জনের বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সামান্য জ্বর থেকেই আচমকা কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হচ্ছিল তাদের। মৃত শিশুরা ছিন্দওয়াড়া, পান্ধুরনা ও বেতুল জেলার বাসিন্দা। কোল্ডরিফ সিরাপ পান করার পর শিশুদের কিডনিতে সংক্রমণ হয়। শিশুদের মৃত্যুর তদন্তে দেখা গেছে যে সিরাপটিতে ডাইথিলিন গ্লাইকোলের পরিমাণ ৪৮.৬ শতাংশ, যা অনুমোদিত সীমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি। এই বিষাক্ত রাসায়নিকটির প্রয়োগে শিশুদের কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিনা বিলেই নন-ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রেড প্রোপিলিন গ্লাইকোল কিনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অনুপযুক্ত সংরক্ষণাগার এবং ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতির কারণে সুঙ্গুভারচত্রম ইউনিটটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও দুটি ব্র্যান্ড – রিলিফ (শেপ ফার্মা) এবং রেসপিফ্রেশ (রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস) নিষিদ্ধ করেছে।
দেখুন ভিডিও