ওয়েব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice Surya Kant)। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তাঁকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (Justice B R Gavai)। আগামী ২৩ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন বিআর গাভাই। তার পরেই তাঁর জায়গায় প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেবেন সূর্য কান্ত।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির অবসর গ্রহণের মাসখানেক আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়। তার কারণে একমাস আগেই আইনমন্ত্রক উত্তরসূরীর নাম প্রস্তাবের জন্য বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে সুপারিশ করেছিলেন। তার পরেই সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করলেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই।
বর্তমানে বিচারপতি সুর্যকান্ত (Justice Surya Kant) হলেন সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি। তাই তিনি ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি ২৪ নভেম্বর দেশের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তাঁর মেয়াদ চলবে ২০২৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার হিসার শহরে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত (Justice Surya Kant) । ১৯৮১ সালে হিসারের সরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। ১৯৮৪ সালে মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, রোহতক থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে হিসার জেলা আদালতে আইনের প্রাক্টিস শুরু করেন। তার পর ১৯৮৫ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে অনুশীলন করার জন্য তিনি চণ্ডীগড়ে চলে আসেন।
আরও খবর : ডবল ইঞ্জিনের উত্তরপ্রদেশে খুন বাঙালি আদিবাসী যুবক
বিচারপতি সূর্যকান্ত সাংবিধানিক, পরিষেবা এবং দেওয়ানি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, বোর্ড, কর্পোরেশন, ব্যাংক এবং এমনকি হাইকোর্টেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০০ সালের ৭ই জুলাই হরিয়ানার কনিষ্ঠতম অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেন তিনি। ২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৪ সালের ৯ই জানুয়ারি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একজন স্থায়ী বিচারক হিসেবে উন্নীত হওয়া পর্যন্ত তিনি হরিয়ানার অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
২০০৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে তিনি ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ২০১১ সালে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করার আরেকটি সম্মান অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন এবং তাতে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালের ৫ই অক্টোবর থেকে তিনি হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০১৯ সালের ২৪ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারক হিসেবে নিয়োগ হন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এবার তিনি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন।
দেখুন অন্য খবর :







