উত্তরকাশী: ১৩ দিন হতে চলল। জীবন-মরণের সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪১টি প্রাণ। পদে পদে বাধায় সময় অতিক্রান্ত হয়ে চলেছে। এখনও সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapse) বাইরের আলোর স্পর্শ পাননি তাঁরা। কিন্তু, যে অবহেলার কারণে আজ তাঁদের এই দুর্দশা, তার কী হবে? যে কোনও সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময়ই তার পাশাপাশি একটি ‘বাঁচার পথ’ (Escape Passege) তৈরি করাই নিয়ম। কোনও বিপদ ঘটলে সেই পথ দিয়ে সহজে উদ্ধার করা কিংবা যাতে বেরিয়ে আসা যায়, তার জন্যই ‘এসকেপ রুট’ তৈরি করা হয়ে থাকে। অথচ, এক্ষেত্রে তা হয়নি। আর তা যদি হতো, তাহলে আজ ১৩ দিন ধরে মৃত্যুকূপে জীবনের বাজি ধরে সাপলুডো খেলতে হতো না ৪১ জন শ্রমিককে।
চারধাম হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (Chardham Highway Development Project) অন্তর্গত সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ তৈরির সময়ই আপৎকালীন নিকাশ পথ তৈরির প্রস্তাব ছিল। গোটা প্রকল্পটির নাম সিলকিয়ারা বান্দ-বারকোট টানেল (Silkyara Band-Barkot Tunnel)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দীর্ঘতম দুই লেনের সুড়ঙ্গপথ এটি। সেই প্রকল্পের বিপদকালীন রক্ষার পথ তৈরির প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু, নির্মাণকারীরা সেকাজ করেনি। যদি সেই পথ সমান্তরালভাবে তৈরি করা হতো, তাহলে আজ কেউ আটকে থাকতেন না। সেই পথ দিয়ে নিজেরাই বেরিয়ে আসতে পারতেন, এমনই মত সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: আবার বাধা, ফের কাজ শুরু হবে বেলার দিকে
আসলে সুড়ঙ্গ তৈরি সময়ই এই পথ তৈরির নিয়ম। কোনও রকম বিপদে এই পথই বাঁচার একমাত্র রাস্তা হয়ে ওঠে। মূল সুড়ঙ্গ থেকে সংকীর্ণ হলেও এটা দিয়ে শ্রমিকরা বেরতে পারেন। এই প্রকল্পেও সিলকিয়ারা থেকে পোলগাঁও পর্যন্ত টানেলে সাড়ে চার কিমি আপৎকালীন নিকাশ পথের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, সুড়ঙ্গ তৈরির সময় নির্মাণকারী সংস্থা এনএইচআইডিসিএল (NHIDCL) কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি।
অন্য খবর দেখুন