তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’ এর শিরোপা জিতেছিলেন হারনাজ সান্ধু। এজন্য ২১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছিল ভারতীয়দের। সুস্মিতা সেন লারা দত্তর পর হারনাজ ছিলেন তৃতীয় ভারতীয় সুন্দরী যিনি মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছিলেন। এখন জানা যাচ্ছে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন হারনাজ। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য নিজেই জানিয়েছেন এই ভারতীয় সুন্দরী। মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে নানান ব্রোক শুনতে হচ্ছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স বলেন, কেউ আমার সেলিয়াক রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানেন না। এই রোগের কারণে অনেক কিছুই আমি খেতে পারি না। সিলিয়াক রোগটি হলো একটি অটোইমিউন কন্ডিশন। যেখানে মানুষের ইমিউন সিস্টেম তার শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। গ্লুটেন জাতীয় খাবারে এটি আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় অপুষ্টিজনিত সমস্যা, স্নায়ু সমস্যা, হাড়ের সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এর ফলে একজনের ওজন কমে যেতে পারে আবার উত্তর দিক বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘকালীন হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মিস ইউনিভার্সের তকমা জেতার পর প্রথমবার দেশে ফির হারনাজকে বিভিন্ন ইভেন্টে দেখা গিয়েছে। হেঁটেছেন ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের র্যাম্পেও। তাঁর ভদ্রতা ও বিনয়ী স্বভাব অনেকের মন জয় করে নিয়েছে। কিন্তু হারনাজকে দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে যে স্লিম-ট্রিম হারনাজ কোথায়? বরং বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর ওজন। তবে সেই নিয়ে লুকিয়ে রাখেন কোনও কিছুই। চেহারায় এমন আমূল পরিবর্তন সম্পর্কে চুপ করে না থেকে প্রকাশ্যে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।হারনাজের চেহারায় আমূল বদল ঘটেছে। বিশ্বসুন্দরীর মুখের জো-লাইন এখন আর স্পষ্ট নেই। মুখ ও শরীর ফুলে পাল্টে গিয়েছে মুখের আদলই। এমনটা হল কীভাবে? আসলে হারনাজ খুব ছোট থেকেই জটিল রোগ সেলিয়ারে আক্রান্ত।
পুরনো এই রোগের জন্য একসময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, সেই রোগ আবার ফিরে এসেছে।তিনি এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘আমার সিলিয়াক রোগের কথা কেউ জানে না। এই রোগের কারণে আমি গম এবং অন্যান্য ভোজ্য জিনিস খেতে পারি না। এছাড়াও যদি কোনও জায়গা পরিবর্তন হয় তবে শরীরে একটি নির্দিষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যদি কেউ পঞ্জাব বা অন্য কোনও জায়গায় যায় তবে তার মধ্যে ওজন বাড়তে বা শরীরে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। আমি নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম যা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল।’ ২১ বছর আগে সর্বশেষ মিস ইউনিভার্স মুকুট পরেছিলেন ভারতের সুন্দরী লারা দত্ত। তার আগে ১৯৯৪ সালে প্রথম কোনো ভারতীয় নারী হিসেবে এই খেতাব অর্জন করেন সুস্মিতা সেন। গত ১২ ডিসেম্বর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে বিজয়ীর মুকুট মাথায় তোলেন হারনাজ। ইসরায়েলের এইলাতে অনুষ্ঠিত ৭০তম আসরে তাকে মুকুট পরিয়ে দেন তার পূর্বসূরি মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেসা।