কলকাতা: সিপিএমের প্রচারে (CPM Election Campaign) বাধা পুলিশের, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ধুন্ধুমার কাণ্ড। রবিবার ওই এলাকায় প্রচারে (Election Campaign) গিয়েছিলেন ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম (Left candidate Saira Shah Halim)। সঙ্গে ছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ প্রচুর বাম-কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু, রাস্তাতেই ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। পুলিশ সাফ জানায় এই এলাকায় ১৪৪ ধারার তাই প্রচার সম্ভব নয়। মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র তর্কবিতর্কে জড়ান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Meenakshi Mukherjee)-সহ সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা।
১ জুন কলকাতায় সপ্তম ও শেষদফার ভোট। তার আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার সেরে নিতে সকালেই মাঠে নেমেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সঙ্গে ছিলেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। এদিন কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচার করতে যান তাঁরা। ওই পাড়াতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা আঁটসাঁট। পাড়ায় ঢোকার মুখে রয়েছে ব্যারিকেড। অনুমতি ছাড়া সেখানে প্রবেশ এতটাও সহজ নয়। ১৪৪ ধারা জারি করা রয়েছে দাবি পুলিশের। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন মীনাক্ষীরা। বাধা দেয় পুলিশ। তখনই বাম সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশের। বচসা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন: দানবীয় ‘রেমাল’, সর্বোচ্চ গতিবেগ কত হতে পারে?
সিপিএমের দাবি, এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন। সায়রা শাহ হালিম বলছেন, আমি শুধু ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ তো গুন্ডাদের মতো আচরণ করছে। ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুলিশের এই বাধার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘যে মুখ্যমন্ত্রী সারা বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, তাঁর পাড়াতেই গণতান্ত্রিকভাবে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন
