কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশের (Bangladesh) কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়েও মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি স্পষ্ট জানান, সহমর্মিতা আছে কিন্তু এই ইস্যুতে এপার বাংলার মানুষ যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়ায়।
তৃণমূলের (TMC) শহীদ দিবসে একুশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না, ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তবে আমরা আশ্রয় নিশ্চয়ই দেব। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তবে তার পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। সহমর্মিতা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের জয়, ৩০ থেকে সংরক্ষণ নেমে ৫ শতাংশ
মমতার এই বক্তব্যের প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশের হাইকোর্টের (Bangladesh High Court) সংরক্ষণ সংক্রান্ত রায় খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে চাকরিক্ষেত্রে কোটা সিস্টেম একেবারে তুলে দেয়নি ওপার বাংলার শীর্ষ আদালত। সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। দুই শতাংশ অন্য শ্রেণির জন্য রাখা হয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশের নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতেই। ৩০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা নিঃসন্দেহে আন্দোলনকারীদের জন্য বড় জয়।
রবিবার শুনানির পর বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়কে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের রায় দিয়েছিল ২০১৮ সালে দিয়েছিল হাইকোর্ট। তা নিয়ে সে সময়েই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সম্প্রতি নতুন করে এই রায়কে বহাল করার পর থেকেই গর্জে ওঠে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। বিক্ষোভ আন্দোলনে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এই আন্দোলনে।
দেখুন অন্য খবর: