কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) মামলায় নিম্ন আদালতের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। হাইকোর্ট জানতে চাইল, যে বা যারা এই মামলার মূল সুবিধা ভোগী, তাঁরা কি গ্রেপ্তার হয়েছেন? স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরেশ অধিকারী ও অঙ্কিতা অধিকারী গ্রেপ্তার হয়েছে কি না, নাম না করে সেই নিয়েও সিবিআইয়ের কৈফিয়ত চাইলো হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের আদালতে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের জামিনের আবেদনে এবার হাইকোর্টে সিবিআই প্রশ্নের মুখে। এই মামলায় যেহেতু জালিয়াতির ধারা যুক্ত হয়েছে, তাই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয় সিঙ্গেল বেঞ্চ। যদিও তার আগে সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন, সিবিআই এতদিন তদন্ত করছে, তাহলে মূল সুবিধা ভোগীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ধৃত অভিযুক্তর থেকে কী কী তথ্য ও নথি পাওয়া গেছে? তাদের বিরুদ্ধে কী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? আর কতদিন সময় লাগবে এই তদন্ত শেষ করতে?
চার্জশিটেও নাম নেই ধৃতের। শুধু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেবে বলে কী এই ভাবে সিবিআই আটকে রাখার আবেদন করতে পারে? আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চাট্যার্জির অভিযোগ, আব্দুল খালেকের নাম এফআইআর (FIR) বা চার্জশিটে নেই। অথচ তাকে ৭৬ দিন ধরে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মূল ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। এদিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতায় কাউন্সিলরের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: Delhi Weather | গরমে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকল রাজধানী, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
এদিকে আদালতের ভর্ৎসনার পর এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) প্রথমবার গোপন জবানবন্দী রেকর্ড করা হল। সূত্রের খবর, নাইসা-র এক আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গোপন জবানবন্দি করানো হয়েছে আদালতে। বুধবার আদালতে ওই ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি করানোর জন্য আবেদন করে সিবিআই (CBI)। আদালত মঞ্জুর করলে নাইসার ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি হয়। কোন সিন্ডিকেটে কারা, কারা কাদের কাছে নির্দেশ পাঠাত, তা বিস্তারিত জানতেই জবানবন্দী রেকর্ড (Records Secret Deposition) করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের ধীর গতিপ্রকৃতি নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআইয়ের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকও।