মথুরা: বাবরি ধ্বংসের (Babri demolition) তিন দশক পূর্ণ হওয়ার দিন মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ মসজিদে (Shahi Idgah) হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পড়ার ফতোয়া ব্যর্থ করে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharat Hindu Mahasabha) এই দিনটিতে কৃষ্ণের প্রকৃত জন্মস্থল (Shri Krishna birthplace) বলে দাবি করা মসজিদে ঢুকে হনুমান চালিশা পড়বে এবং লাড্ডু গোপালের (Laddu Gopal) পূজার্চনা করার ডাক দিয়েছিল।
কিন্তু, সোমবার রাত থেকে গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং প্রচুর পুলিশ-কমব্যাট বাহিনী নামিয়ে পুরো শহরসহ মসজিদ চত্বরকে দুর্গে পরিণত করে প্রশাসন। মসজিদের ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। যারাই পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে এগনোর চেষ্টা করেছে তাদের মধ্যে ৪৯ জনকে আটক করে রাখা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ফের মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, তারপর কী ঘটল রাজস্থানে?
এদিন দুপুর নাগাদ হিন্দু মহাসভার প্রচুর কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়। একজনকে কাঁধে বাঁক নিয়ে একদিকে লাড্ডু গোপাল ও অন্যদিকে গঙ্গাজল ভরে এগতে দেখে পুলিশ গেটের মুখেই তাকে আটক করে। পোটরা কুণ্ডের কাছে দিল্লি থেকে আসা ৩ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোট ৪৯ জন পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। যাদের অধিকাংশই দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের লোক। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে হিন্দু মহাসভা বাবরি ধ্বংসের দিন মথুরা চলোর ডাক দেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, কৃষ্ণের জন্মস্থল বলে বিতর্কিত এলাকা হনুমান চালিশা পাঠের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল রাত থেকেই প্রচুর সমর্থক চলে আসে মথুরায়। দিল্লি থেকে আসা এক সমর্থক বলেন, রাজশ্রী চৌধুরীর ডাকে তিনি এখানে এসেছেন। রাজশ্রী হলেন সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্রী ও সারা ভারত হিন্দু মহাসভার সভানেত্রী।
পুলিশ এদিন মসজিদে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেয়। সমস্ত যানবাহনে তল্লাশি চালায়। এমনকী মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এক সমর্থক লাড্ডু গোপালের জলাভিষেক করবে বলে এসেছিলেন, তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।