আগ্রা: তাজমহলের (Taj Mahal) রূপকার সম্রাট শাহজাহান। সেই স্মৃতিসৌধের কিনা কোটি টাকার বেশি কর বাকি! ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য সেই বকেয়া কর মেটাতে নোটিস দিল আগ্রা পুরসভা (AMC)। যা হাতে পেয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছে ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (ASI) কর্তৃপক্ষ। জলকর (Water Tax) বাবদ এক কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং সম্পত্তি কর (Property Tax) বাবদ দেড় লক্ষ টাকা বকেয়া আছে একদা ভারতেশ্বর শাহজাহানের সাধের তাজমহলের। গত ২টি আর্থিক বছরের হিসেবে এই নোটিস দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত আগ্রা পুরসভা।
ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিসে বকেয়া কর মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে। সময়মতো কর জমা না-দিলে সম্পত্তি (তাজমহল) বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে পুরসভা। এএসআইয়ের সুপারিন্টেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট রাজকুমার প্যাটেল নোটিসে ব্যাপারে বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের ক্ষেত্রে সম্পত্তি কর প্রযোজ্য হয় না। শুধু তাই নয়, জলকর দিতেও আমরা বাধ্য নই। কারণ, এখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে জল ব্যবহার করা হয় না বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন: Job Scam: স্টেশনে বসে ৮ ঘণ্টা ট্রেন গোনার ‘প্রশিক্ষণ’, রেলে চাকরি-প্রতারণার খেসারত ২ কোটি ৬৭ লক্ষ
প্যাটেল জানান, তাজমহলে যে বাগান রয়েছে, সেই বাগান রক্ষণাবেক্ষণের কাজে জল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে জলকরও দিতে হয় না কর্তৃপক্ষকে। জল ও সম্পত্তি করের এ ধরনের নোটিস প্রথমবার এল বলে তাঁর দাবি। তবে তিনি মনে করেন, কোনও কারণে ভুল করে এই নোটিস পাঠিয়ে থাকতে পারে পুরসভা।
মিউনিসিপ্যাল কমিশনার নিখিল টি ফুন্দে বলেন, কর-নোটিসের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। নতুন কর ব্যবস্থায় জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে নোটিস পাঠানো হয়। তাই সমস্ত নির্মাণের ক্ষেত্রেই কর হিসেব করে অটোমেটিক নোটিস চলে যায়। এবার যদি এএসআইয়ের কাছে নোটিস চলে গিয়ে থাকে, তাহলে ওরা কী জবাব দেয়, তার উপর নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
তাজগঞ্জ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, কী করে তাজমহলের ক্ষেত্রে নোটিস চলে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে। মনে হয় যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা জিআইএস সমীক্ষা থেকে নোটিস তৈরি করেছে। এএসআইয়ের কর্তারা জানান, ১৯২০ সালে ব্রিটিশ আমলেই তাজমহলকে সংরক্ষিত সৌধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত কোনওদিন এ ধরনের নোটিস আসেনি।