নয়াদিল্লি: গত কয়েক সপ্তাহে হিন্ডেনবার্গ-আদানি দ্বন্দ্বে ( Hindenburg-Adani Row) উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। সংসদে ক্রমাগত মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, ‘বিজেপির ভয় পাওয়ার বা লুকানোর কিছু নেই।’
আদানি ইস্যু নিয়ে এদিন অমিত শাহ বলেন, বিষয়টি আপাতত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা তাঁর পক্ষে উপযুক্ত হবে না। তিনি আরও বলেন, “ন্তব্য করা আমার পক্ষে ঠিক নয়। তবে এতে বিজেপির লুকানোর কিছু নেই এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই।” যদিও শাহের আগে এই বিতর্কে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তবে তিনিও কৌশলে এই প্রসঙ্গ এড়িয়েছিলেন। শুধু বলেছিলেন, ‘‘এ দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি গোটা বিষয়ে অবহিত। শুধু এখন নয়, তারা বরাবরই সতর্ক।’’
আরও পড়ুন:Amartya Sen: অমর্ত্য সেনের সমর্থনে ফেসবুক পোস্ট, পড়ুয়াকে শোকজ কর্তৃপক্ষের
গত ২৪ জানুয়ারি আমেরিকার লগ্নি গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, বিপুল অঙ্কের ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। শিল্পপতি গৌতম আদানির (Goutam Adani) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) ‘সুসম্পর্ক’কে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। তারা সংসদে এ নিয়ে পুর্নাঙ্গ আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে। দাবি জানিয়েছে, সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করে অভিযোগের তদন্ত করারও। এদিকে, গত সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আদানি প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৌশলে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিয়ে মোদী বলেছিলেন, বিরোধীদের হাতে কাদা রয়েছে বলেই ছুড়ছেন। যত কাদা ছুড়বেন, ততই পদ্ম ফুটবে।” সেও আবহেই এবার মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উল্লেখ্য, আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সেঙ্গে উল্কার গতিতে আদানির উত্থান হয়েছে। ২০১৪ সালের পর আদানি ৬০৯তম থেকে বিশ্বব্যাপী ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আদানিকে বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশী চুক্তিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি আরও জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আদানি গত ২০ বছরে নির্বাচনী বন্ড-সহ বিজেপিকে কত টাকা দিয়েছে।