নয়াদিল্লি: সংবিধানের (Constitution) মূল কাঠামোয় ধর্মনিরপেক্ষতার (Secularism) সুর ছিল। ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটির অন্তর্ভুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলায় মন্তব্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjeev Khanna) ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের (Justice Sanjay Kumar)।
সুপ্রিম কোর্ট তার বহু রায়ে বারবার বলেছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামোয় সর্বদাই ধর্মনিরপেক্ষতার সুর ছিল। সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত অধিকার ছাড়াও সাম্যতা এবং ভ্রাতৃত্বের অধিকারের দিকে যদি তাকানো যায়, তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি সংবিধানের স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে। তবে ফরাসি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিতুলনায় আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার মডেল অপেক্ষাকৃত আধুনিক, একথা মৌখিকভাবে জানান বিচারপতি খান্না।
আরও পড়ুন: শিক্ষার অধিকার আইন না মানা মাদ্রাসা বন্ধে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
মামলাকারী বলরাম সিং, ডঃ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের প্রতি বিচারপতি খান্নার জিজ্ঞাসা, আপনারা কি চান না ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকুক? উত্তরে আবেদনকারীদের জবাব, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ নয়, আমরা বলছি না। আমরা ওই সংশোধন চ্যালেঞ্জ করেছি। তাছাড়া সংবিধান রচয়িতা স্বয়ং ডঃ আম্বেদকর বলেছিলেন, সংবিধানে সমাজতন্ত্র শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে।
এতে বিচারপতি বলেন, দেশের সম্পদ ও সুযোগের ক্ষেত্রে সাম্যতার নীতির কথা বলে সমাজতন্ত্র। যাতে তা সমানভাবে বণ্টিত হয়। সোশ্যালিজম শব্দটির পশ্চিমি ব্যাখ্যা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।
অনন্তকাল ধরে এদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী শুনিয়েছে, মন্তব্য অশ্বিনী উপাধ্যায়ের। তাঁর সওয়াল, যদি ওই সংশোধনী মেনে নেওয়া হয়, তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে, আগামী দিনেও সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করা যাবে এবং সেই সূত্রে গণতন্ত্র শব্দটিও ছেঁটে ফেলা যেতে পারে। ১৮ নভেম্বরের পরে পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: