নয়াদিল্লি: একদিকে দিল্লিতে (Delhi) বিধানসভা নির্বাচন (Election), অপর দিকে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget) । তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচনের পর থেকে এটি হবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের (NDA Government) দ্বিতীয় বাজেট।
বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Minister Nirmala Sitharaman) । আর এই বাজেটকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারের দিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) । মধ্যবিত্তদের জন্য কেন্দ্রের কাছে সাতটি দাবি কেজরির।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেজরি বলেন, এবারের বাজেট হোক মধ্যবিত্তদের (middle class) কথা ভেবে। ভারতের মূল পরাশক্তি মধ্যবিত্তকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। আমি এই বৈঠক থেকে ঘোষণা করছি যে, দিল্লির রাস্তা থেকে সংসদ পর্যন্ত আপ মধ্যবিত্তদের জন্য আওয়াজ তুলবে।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লিকে ধ্বংস করতে দেব না’, ভোটের আগে ঝাঁঝ বাড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা কেজরির
এটিকে ‘কর সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করে কেজরিওয়াল কেন্দ্রের কর নীতির সমালোচনা করে বলেন “মানুষকে জীবিত অবস্থায় কর দিতে হবে, কিন্তু এখন সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে তাদের মৃত্যুর পরেও দিতে হবে।
কেজরির প্রশ্ন,’কর সন্ত্রাসবাদ’দের চাপে কিভাবে মধ্যবিত্তরা তাদের স্বপ্নগুলি পূরণ করতে পারবে। বিবাহিত দম্পতির জন্য, পরিবার পরিকল্পনা একটি আর্থিক সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের সমস্যার কারণে অনেক ভারতীয় দেশ ছাড়ছেন। ২০২০ থেকে ৮৫ হাজার ভারতীয় দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। এটা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।”
কেজরিওয়ালের দাবিগুলি হল-
১) শিক্ষা বাজেট জিডিপির ২ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা উচিত এবং বেসরকারি স্কুলের ফি সীমাবদ্ধ করা উচিত
২) উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তুকি ও বৃত্তি দিতে হবে।
৩) স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বাজেটও বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। এবং স্বাস্থ্যবিমায় কর প্রত্যাহার করুক সরকার।
৪. পুরনো নিয়মে বদল এনে বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর ছাড় ঘোষণা করুক কেন্দ্র।
৫) নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হোক।
৬). চাকরি থেকে অবসরের পর দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সঠিক অবসরকালীন প্রকল্প আনুক সরকার, আনা হোক পেনশন প্ল্যান। পাশাপাশি সারা দেশের হাসপাতালে যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করা হোক।
৭). এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের রেল যাত্রায় ভাড়ার উপর ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত আগে। সেই প্রকল্প পুনরায় চালু করা হোক।
কেজরি বলেন, দেশের মধ্যবিত্তদের কোনও সরকার ভাবেনি। সরকার এসেছে,গেছে, কিন্তু সবাই মধ্যবিত্তদের লুঠ করেছে। শোষণ করা হয়েছে এই শ্রেণিকে। কখনও মধ্যবিত্তদের জন্য ভেবে কিছু করা হয়নি। কিন্তু যখন ইচ্ছে তাদের ঘাড়ে ‘কর’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ‘ট্যাক্স টেরোরিজম’-এর শিকার। কেন্দ্র সরকারের এবার মধ্যবিত্তদের জন্য কিছ ভাবা উচিত।
দেখুন অন্য খবর-