ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিনের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকা (USA) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে সদস্যপদ ছাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যক্রম এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। কারণ শপথ গ্রহণের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের লুটে নিয়েছে।”
যদিও এই প্রথম নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সাল থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে আসছেন। তাঁর দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের (China) প্রভাবাধীন এবং অতিমারি মোকাবিলায় ব্যর্থ। করোনা অতিমারির সময় সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকা চীনের চেয়ে বেশি অর্থ দেয়, অথচ এর সঠিক ব্যবহার হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনের পক্ষপাতিত্বের জন্য অভিযুক্ত করেও ট্রাম্প আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার ভারতীয়কে দেশছাড়া করবে ট্রাম্প প্রশাসন?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার ফলে সংস্থার উপর বড় অর্থনৈতিক চাপ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ১৯৪৮ সাল থেকে আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যতম বড় অর্থদাতা দেশ। সংস্থার মোট বাজেটের প্রায় ১৮ শতাংশই আসত আমেরিকা থেকে। ২০২৪-২৫ সালেই আমেরিকা ৬.৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। ট্রাম্পের হঠাৎ সিদ্ধান্তে এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে যাওয়ার ফলে আমেরিকার স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) বিভিন্ন রোগ সংক্রান্ত তথ্য ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করত। কিন্তু এই বিচ্ছিন্নতার কারণে ক্লিনিকাল ডেটা এবং টিউবারকুলোসিস, এইচআইভি-র মতো রোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য আর সহজলভ্য হবে না। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে বিচ্ছেদ আমেরিকার নিজস্ব জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
দেখুন আরও খবর: