কলকাতা: আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja)। দুর্গা পুজোর দশমী পেরোলেই শুরু হয়ে যায় মা লক্ষ্মীকে আবাহনের প্রস্তুতি। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে চলছে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। সেলেব দের লক্ষ্মীপুজোর মধ্যে অন্যতম মহানায়ক উত্তরকুমারের বাড়ির পুজো (Uttam Kumar Houses Lakshmi Puja)। প্রতি বছরই মহানায়কের (Uttam Kumar) বাড়িতে ধুমধাম করে আয়োজন করা হচ্ছে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজো। এ ১৯৫০ সালে জন্ম হয় মহানায়কের ছেলে গৌতমের। ছেলের জন্মের বছরেই মহানায়ক উত্তমকুমারের ইচ্ছেতেই ভবানীপুরে গিরিশ মুখার্জি রোডের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে শুরু হয়ে ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।
শোনা গিয়েছিল, অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো দেখেই মনে সাধ জেগে ছিল উত্তমকুমারের। তারপর নিজের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন উত্তমকুমার। ওই সময় স্টুডিও পাড়া থেকে আর্ট ডিরেক্টর এসে আলপনা দিতেন। গোটা বাড়ি জুড়ে তখন এলাহি ব্যাপার! দেবীকে ভোগ হিসাবে দেওয়ার জন্য দোকান থেকে আনানো মিষ্টি নয়, বরং বাড়িতেই ময়রা ডেকে ভিয়েন বসাতেন মহানায়ক।ভবানীপুরের চাটুজ্যে বাড়িতে বসত চাঁদের হাট। পাত পেড়ে খাওয়ানো হতো ভোগ। সেই ধারা একইভাবে বজায় রেখেছে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম। গৌরীদেবীর মুখের আদলে লক্ষ্মীমূর্তি গড়েন। আজও প্রতিমার মুখের গড়নে সেই চেনা ছাপ।
আরও পড়ুন: অপরাজিতার বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় এলাহি ভোগ
এই পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। গৌরব, নবমিতা ও মৌমিতারা এই পুজো করেন। সময়ের সঙ্গে হয়ত সেই জৌলুস জাঁকজমক কমেছে, কিন্তু ভক্তি নিষ্ঠায় ঘাটতি নেই। সারাদিন নির্জলা উপোস করে বাড়ির কর্তা উত্তমকুমার নিজে পুজোয় বসতেন। এখন সেই দায়িত্ব পালন করেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেবলিনা। অভিনেত্রী বলেন, প্রতিবছর যেমন আয়োজন থাকে, এবারও তেমনই থাকবে। প্রত্যেকেই মাকে দর্শন করতে আসবেন। তাই পুজোয় আয়োজন কিংবা আপ্যায়নে কোনও খামতিই রাখতে চাই না।
অন্য খবর দেখুন