কলকাতা: ল অফ অ্যাভারেজ বলে একটা কথা ভীষণভাবে প্রচলিত। এর ভাবানুবাদ করলে যা বোঝায় তা হল, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। মোহনবাগান এই ল অফ অ্যাভারেজের শিকার হল। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে জিতিয়েছিলেন গোলকিপার বিশাল কাইথ। কিন্তু ফাইনালটা তাঁর দিন ছিল না। তাই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হেরে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেলেন দ্রাবিড়-পুত্র সমিত
আবারও প্রশ্নের মুখে হোসে মোলিনার দলের রক্ষণ। ফাইনালের মতো ম্যাচে প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে যাওয়া দল ট্রফিছাড়া ফিরল। এর জন্য যেমন রক্ষণ দায়ী সেরকম মোলিনার অদ্ভুত কিছু সিদ্ধান্ত। ম্যাচ শেষে যুবভারতী ফেরত জনতার একটাই প্রশ্ন, হাফ টাইমের পর সাহালকে কেন তুলে নেওয়া হল। প্রথমত তিনি ভালো খেলছিলেন, গোল করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, দিমিত্রি পেত্রাতস তো পুরো ফিট নন। এত তাড়াহুড়ো করে তাঁকে নামানোর কারণ কী? যদি আক্রমণ শক্তিশালী করার হয়, তাহলে গ্রেগ স্টুয়ার্টকেই বা তুলে নেওয়া হল কেন?
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের উইং সচল, তা সত্ত্বেও তিন ব্যাকে খেলালেন মোলিনা। দুই প্রান্তে লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিংয়ের কাজ আক্রমণের পাশাপাশি নীচে নেমে রক্ষণকে সাহায্য করা। এই স্ট্র্যাটেজির যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও প্রচুর। লিস্টন-মনবীর নীচে নামতে না পারলে রক্ষণ আলগা হয়ে পড়বে। এদিন ঠিক তাই হল এবং দুটো গোল হজম করতে হল।
রেকর্ড ১৭ বার ডুরান্ড কাপ জিতেছে। ইস্টবেঙ্গল ১৬ বার। শনিবার আরও এগিয়ে যাওয়া এবং ১৮ নম্বর ট্রফি জিতে এই টুর্নামেন্টে ‘সাবালক’ হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা আর হল না। মরসুমের প্রথম ট্রফি হাতছাড়া হল মোহনবাগানের।
দেখুন বিস্তারিত খবর