উত্তর দিনাজপুর: ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তিনি। ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় বেরিয়ে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক। সেখানেই এক জনসভায় তিনি বলেন, “যত ইডি-সিবিআইয়ের নোটিস আসবে তৃণমূলের আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়বে। আমাকে অনেকবার নোটিস পাঠিয়েছে, আমি গিয়ে হাজিরাও দিয়েছি। কিন্তু লড়াই থামাইনি। এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। মনে রাখবেন, ইডি-সিবিআই (ED-CBI) দেখিয়ে অন্য যে কোনও দলকে দুর্বল করা যায়, কিন্তু তৃণমূলকে (TMC) নয়”।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকেও এদিন নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন,” ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র কোনও টাকা দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে কেউ আপনাদের টাকা আটকে রাখতে পারবে না। মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করতে, ১০০ দিনের টাকা ছিনিয়ে আনতে হলে, ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচী শেষে এক কোটি আবেদন নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলনে নামবো। ধমকে-চমকে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যাবে না।”
আরও পড়ুন:Fire | বাঙুরে পেট্রল পাম্পের পাশে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন
অভিষেক বলেন, “বিজেপির কয়েক জন নেতা চিমটি কেটে বাংলা ভাগের উসকানি দিচ্ছেন। সাহস থাকলে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা এক বার প্রকাশ্যে রাজ্য ভাগের কথা বলুন।” তৃণমূল সরকারে একধিক প্রকল্পের সফলতার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “রিপোর্ট কার্ড পেশ করছি, ২৩ লক্ষ মানুষকে ঐক্যশ্রী, ৩০ লক্ষ মানুষকে খাদ্যসাথী, ৪ লক্ষ মানুষকে কন্যাশ্রী, ৫ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই জেলায় দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপি রিপোর্ট কার্ড পেশ করে দেখাক এই জেলায় কী করেছে”? দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে টাকা দিচ্ছে, মোদি সেই টাকাই আধার আর প্যান কার্ড লিঙ্কের নামে নিয়ে চলে যাচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ নামে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ২ মাস জেলায় জেলায় ঘুরে জনসভা, অধিবেশন করছেন তিনি। মানুষের সঙ্গে কথাও বলছেন, শুনছেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা। জনসভা থেকে সুরও চড়াচ্ছেন। নিরাপত্তার পরোয়া না করে প্রতিদিনই যেভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন সেটাকেও আমজনতা খুব ভালোভাবেই নিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।