নদিয়া: নথি সংরক্ষণ না করে ২ বছরে প্রায় ১১০০ জন্ম শংসাপত্র (Birth Certificate) ইস্যু করার অভিযোগ পঞ্চায়েত কর্মীর (Panchayat Worker) বিরুদ্ধে। টানা ২ বছর ধরে একের পর এক জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করা হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি কোনও নথি। ‘ভুয়ো’ নম্বরে পাঠানো ওটিপির ভিত্তিতেই জন্ম শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনা সামনে আসতেই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। পলাতক অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মী আশীষ কর্মকার।
নদিয়ার (Nadia) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি খাতুনের অভিযোগ বর্তমানে ডিজিটাল অনলাইনের মাধ্যমে জন্মসংসাপত্রের জন্য আবেদন হয়। শংসাপত্র ইস্যু করা হয় পোর্টালের মাধ্যমেই। এই পঞ্চায়েতে জন্মসংসাপত্রের পোর্টালের আইডি ও পাসওয়ার্ড ছিল পঞ্চায়েত কর্মী আশীষ কর্মকারের কাছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র সিং নেগির মাছ বিক্রি বন্ধের ফতোয়া মানতে নারাজ বাংলা
অভিযোগ, কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েত প্রধান জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে পারেন যে, গত দু’বছরে প্রায় ১১০০ জন্ম সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। যেগুলো ‘নন ইনস্টিটিউশনাল বার্থ’। এরপরই কিভাবে তা হল জানতে চেয়ে ‘সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে শোকজ করা হয়। প্রধানের অভিযোগ তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। এরপরই গত মঙ্গলবার চাপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। বিপদ বুঝে গা ঢাকা দিয়েছে ওই পঞ্চায়েত কর্মী।
তদন্তে জানা গিয়েছে শুধু জেলার নয়, ভিন রাজ্যের মানুষের নামেও জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি ওই কর্মী একা নন প্রধান সহ অন্যান্যরাও জড়িত, টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছে চাপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।
দেখুন আরও খবর: