আরামবাগ: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (Tmc) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। মাদার তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে লড়াই। ঘটনায় ব্যাপক বোমাবাজি ও ঘরবাড়ি লুঠ, ভাঙচুরের অভিযোগ। এই সংঘর্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিন ধরে টানা এই ঘটনা ঘটছে হুগলির (Hoogly) আরামবাগ থানা এলাকার বাতানল বাজার এলাকায়। ভয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। আতঙ্কে এখন অন্তত ৪০টি দোকান বন্ধ রয়েছে। আরামবাগ থানা (Arambag ps) এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার ( Arrest) করেছে। এলাকায় পুলিশের টহল চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাতে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি লেগে রয়ছে। মাঝেমধ্যেই এই দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে হুগলির বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার সকালে আরামবাগের বাতানল এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। উভয় গোষ্ঠীর সমর্থকদের বহু বাড়ি, দোকান ভাঙচুর এবং লুঠপাট চলে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Metro Rail: অবশেষে সবুজ সঙ্কেত, শুরু হচ্ছে জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো পরিষেবা
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ওই ঝামেলার জেরে তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে তাঁদের আর্জি, এবার এর একটা বিহিত হোক। নিজেদের মধ্যে মারামারির জন্য ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ এলাকাবাসী। তাঁরা চান, এলাকায় শান্তি ফিরুক। তবে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীই এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে। বিশেষ করে আদি ও নব্য তৃণমূলের লড়াই শাসকদলকে অস্বস্তিতে রেখেছে। কদিন আগেই কৃষ্ণনগরে দলীয় সভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দলে কোনও ঝগড়া বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের মেলবন্ধন ঘটাতে হবে।