নয়াদিল্লি: শান্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখাচ্ছেন না গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে সংঘাতের জল এবার নামী সাংবাদিক রজত শর্মা (Rajat Sharma) পর্যন্ত গড়াল। টুইটারে নাম করে শর্মাকে ধুয়ে দিয়েছেন গম্ভীর। এক্ষেত্রে সূত্রপাত অবশ্য সাংবাদিকই করেছিলেন। এলএসজি (LSG) বনাম আরসিবি (RCB) ম্যাচে গম্ভীরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন রজত শর্মা। তিনি বলেন, কোহলির জনপ্রিয়তায় হিংসে করেন গম্ভীর। বিরাট কোহলি কোনওরকম ‘ননসেন্স’ বরদাস্ত করেন না বলেও মন্তব্য করেন শর্মা। এও বলেন, গম্ভীর সেদিন যা করেছিলেন খেলোয়াড়ি আচরণের সঙ্গে যায় না এবং একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার কিংবা সাংসদের পক্ষে এ কাজ মানায় না।
গম্ভীরের মতো মেজাজের মানুষকে রাগিয়ে দিতে এটুকু যথেষ্ট। রজত শর্মাকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তিনি, যদিও নাম না করে। টুইটারে তিনি লেখেন, যে লোকটা চাপের কারণ দেখিয়ে দিল্লি ক্রিকেট থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, সে এখন ক্রিকেটের চিন্তায় পয়সা নিয়ে জনসংযোগ বিক্রির চেষ্টা করছে। এটাই কলিযুগ, যেখানে পলাতক নিজের আদালত চালায়।
আরও পড়ুন: Sharad Pawar | মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে জোট করতে চেয়েছিল বিজেপি, রাজি ছিলাম না আমি: পাওয়ার
Man who ran away from Delhi Cricket citing “pressure” seems over eager to sell paid PR as concern for cricket! यही कलयुग़ है जहां ‘भगोड़े’ अपनी ‘अदालत’ चलाते हैं।
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) May 3, 2023
এককালে দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা ডিডিসিএ-র (DDCA) সভাপতি ছিলেন রজত শর্মা। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন তিনি। সাংবাদিকের অভিযোগ ছিল, কাজ করতে গিয়ে চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি, চলছে অনিয়ম। বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ডিডিসিএ-র বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং আমার পক্ষে সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। বেশ কিছুটা টালবাহানার পর রজত শর্মার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন ওম্ভাডসম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) বদর দুরেজ আহমেদ। দিল্লি ক্রিকেট পরিচালন সমিতি থেকে সরে যাওয়াকেই কটাক্ষ করেছেন গম্ভীর। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত করলেন, কোহলির হয়ে জনসংযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সাংবাদিক।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১ মে) লখনউয়ের ক্রিকেটার নবীন উল হকের (Naveen Ul Haque) সঙ্গে খেলা চলাকালীন ঝামেলা লেগেছিল বিরাট কোহলির। সে সময় আম্পায়ার মধ্যস্থতা করলেও ম্যাচের শেষে হ্যান্ডশেকের ফের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর এলএসজি প্লেয়ার কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে কোহলির কথা চলাকালীন মেয়ার্সকে হাত ধরে নিয়ে চলে যান গম্ভীর। এতে ক্ষুব্ধ হন কোহলি। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ কাটা যায় কোহলি, গম্ভীর দুজনেরই। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হয় নবীন উল হকের।