কলকাতা: জেলা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ১০ মে দুপুর ২টোয় জেলা আদালতে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
জমি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সিউড়ি কোর্টে আগেই মামলা করেছিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। সেখানে ১৫ মে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিশ্বভারতীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার শুনানি এগিয়ে ১০ মে করল হাইকোর্ট। তাই ৬ মে জমিখালি করার নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে। বিশ্বভারতীর দাবি ছিল, এই মামলা গ্রহণ যোগ্য নয়। বিশ্বভারতী তাঁকে ৬ মে খালি করে দিতে নির্দেশ দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯৯ বছরের জন্য ১.৩৮ একর জমি লিজে দিয়েছিলেন। ওই লিজে জমি পেয়েছিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন। তাঁর বাবা প্রতীচী বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনবার চিঠি দিয়ে সেই জমি ফেরত চেয়েছে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর তরফে ১৯৭১ সালের ভূমি দখলদারি উচ্ছেদ আইনের হুঁশিয়ারির নোটিসও দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। না হলে বলপ্রয়োগ করে জমির দখল নেওয়া হবে বলেও নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে দিনের পর দিন হেনস্তা করে যাচ্ছেন। একজন ভারতরত্ন, বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ, নোবেল জয়ী বিশ্ববরেণ্য মানুষকে এভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে রবিবার পথে নামে শান্তিনিকেতনবাসী।