Monday, June 9, 2025
HomeScrollFourth Pillar | দিল্লি কা লাড্ডু হাতে রাখার জন্য আপ-এর ফর্মুলা নম্বর...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | দিল্লি কা লাড্ডু হাতে রাখার জন্য আপ-এর ফর্মুলা নম্বর ওয়ান

কেবল সফট হিন্দুত্ব নয়, আপ হয়ে উঠতে চায় নরম বিজেপি

Follow Us :

আম আদমি পার্টি নিয়ে আলোচনার আগেই বলে রাখি শুরুর আপ আর আজকের আপকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এক দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা আম আদমি পার্টি কিন্তু স্রেফ দুর্নীতি বিরোধিতার জন্য তৈরি হয়নি। সেটা ছিল বটে সামনের বিষয়, কিন্তু তার সঙ্গেও ছিল ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকা ধর্ম নিরপেক্ষতা, ছিল ওয়েলফেয়ার স্টেট-এর কথা, ছিল জঙ্গি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কথাবার্তা। স্রেফ উন্নয়ন আর দুর্নীতির বিরোধিতার জন্য আম আদমি পার্টি তৈরি হয়নি। ছিলেন যোগেন্দ্র যাদব, আশুতোষ, প্রশান্ত ভূষণ। ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন আন্দোলনে বিজেপি নেতারা, রামদেব, স্বাধ্বী ঋতাম্ভরা ইত্যাদিরা ছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রশান্ত ভূষণ, আশুতোষ, যোগেন্দ্র যাদব ইত্যাদিরাও ছিলেন। বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেসকে সরানো, তারা এই আন্দোলনের সমর্থনে নেমেছিল, অফিসিয়াল বামেরা কংগ্রেস সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল বটে, কিন্তু এই আন্দোলনে তারা সেভাবে ছিল না। কিন্তু ওই আন্দোলনের এক অংশ বাম, উদারবাদী রাজনীতির ধারায় ছিল, অন্য অংশ বিজেপির সঙ্গে। ২০১৪-তে নরেন্দ্র মোদির প্রচার দেখুন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, কালা ধন ওয়াপস লানা হ্যায় ইত্যাদি ইত্যাদি, মূলত দুর্নীতি-মুক্ত ভারত তৈরির স্লোগান, পরে যা কংগ্রেস-মুক্ত ভারতে বদলে যায়।

আম আদমি পার্টি কিন্তু বিজেপির বিরোধিতাই করছিল, তারা ২০১৩-তে দিল্লি বিধানসভায় ৭০-এর মধ্যে ২৮টা আসন পায়, না বিজেপির সঙ্গে নয়, কংগ্রেসের সঙ্গেই মিলে সরকার তৈরি করে। ২০১৪-তে পালাবদল, কিন্তু আপ দিল্লিতে একটা লোকসভা আসনও পেল না। আবার ২০১৫-তে সবাইকে চমকে দিয়ে ৭০-এ ৬৭টা আসন পায়, বিজেপি ৩টে। কংগ্রেস ধুয়েমুছে সাফ। ঠিক এই সময় থেকে আপ নিজেকে পাল্টাতে শুরু করে, দলের মধ্যে লেফট টু সেন্টার যে সমস্ত নেতারা ছিলেন, প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদব, আশুতোষ ইত্যাদিরা বেরিয়ে আসেন, আপ-এর একচ্ছত্র নেতা হয়ে ওঠেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তখন থেকে আপ নিজেকে কোনওরকম রাজনৈতিক আদর্শ ইত্যাদি থেকে বিচ্ছিন্ন করে কেবল গুড গভর্নেন্স, দুর্নীতি মুক্ত সরকার, উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, বস্তি উন্নয়ন ইত্যাদির মধ্যেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজেপির রামমন্দিরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সস্ত্রীক হাজির হলেন, ফ্রিতে তীর্থযাত্রা করানোর ব্যবস্থা করলেন, ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সমর্থন করলেন, প্রচারের মধ্যে, নির্বাচনের দিন, ফল ঘোষণার দিন হনুমান মন্দিরে গেলেন, হনুমান চালিসা মুখস্থ বলে চমকে দিলেন, কারেন্সি নোটে, টাকায় গান্ধীর বদলে লক্ষ্মী গণেশের ছবি দেওয়ার কথাও বলছেন, গুজরাটে গিয়ে বিলকিস বানোর গণ ধর্ষণকারীদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি কেজরিওয়াল। এ এক নতুন আপ, এ আপ কেজরিওয়ালের। ২০১৫ থেকে এক নতুন আপ তৈরি হয়েছে, যে বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে চায়।

সেই জন্যই সে কেবল সফট হিন্দুত্ব নয়, আপ হয়ে উঠতে চায় নরম বিজেপি। তার ফর্মুলা নম্বর ১ হল, কংগ্রেসের বিরোধিতা। আপ-এর নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভালো করেই জানেন বিজেপি হার্ড টার্গেট। বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের আগে সে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়ে তার জমি পেতে চায়। পেয়েওছে। দিল্লিতে কংগ্রেসকে হারিয়েছে, দিল্লি দখলের পর বিজেপির হাত থেকে মিউনিসিপ্যালিটি কেড়ে নিল। কংগ্রেস থাকলে এটা সম্ভব হত না। একইভাবে পঞ্জাবে সোজাসুজি লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে, বিজেপি সেখানে কোনও ফ্যাক্টরই নয়। গুজরাটের ফর্মুলাও একই, কংগ্রেসের ভোট কেটে ১২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে আপ, কারণ বিজেপি তার আগের ৪৬ শতাংশের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে। বিজেপিও খানিকটা কংগ্রেসের ভোট কেটেছে, আপ বেশি কেটেছে, তার পাওয়া ১২ শতাংশ ভোটের ৯০ শতাংশই কংগ্রেসের ভোট। আপ-এর ফর্মুলা নম্বর ১ হচ্ছে আপাতত কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠা, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের বদলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। ফর্মুলা নম্বর দুই, দিল্লি শিক্ষা, বিদ্যুৎ, বস্তি উন্নয়নকে এক মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা। তারসঙ্গে এখন যোগ হয়েছে ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার। ফর্মুলা নম্বর তিন, সেকুলারিজম ইত্যাদি নিয়ে মাথা না ঘামানো, হিন্দুত্ব প্রশ্নে দ্বিধাহীনভাবেই হিন্দু কার্ড খেলতে থাকা, এই ফর্মুলা অনুযায়ীই তারা বিজেপিকে হিন্দুত্ব প্রশ্নে একবারও আক্রমণ করতে চায় না। বরং আরএসএস সরসঙ্ঘচালককে চিঠি লিখে অনুযোগ করে। ফর্মুলা নম্বর চার থার্ড ফ্রন্ট, আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বে থার্ড ফ্রন্ট। আর সাধারণভাবে নির্বাচন হয়ে যাক, যার যত নম্বর সেই হিসেবে খেলা হবে, এটাই তাদের স্ট্রাটেজি।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজি, আপনি ভগবান, মানুষ না ভূত, সেটা মানুষ ঠিক করে দেবে

ফর্মুলা নম্বর ৫ ছিল মোদির বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তুলে ধরা, মানুষকে মোদির বিকল্প হিসেবে একজন আরও সৎ, শিক্ষিত কমন ম্যান ইমেজকে দাঁড় করানো। সেই ফর্মুলা আপাতত তাকে তুলে রাখা হয়েছে। আপাতত এই ৪টে ফর্মুলা নিয়ে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে। কিন্তু তাদের ফর্মুলাতে বিস্তর গন্ডগোল। সাফল্য এসেছে, কিন্তু সে সাফল্যকে ধরে রাখা এবং কংগ্রেসের জাতীয় বিকল্প হয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। আপাতত তারা কংগ্রেসের কিছু ভোট কাটতে পারে, যেমন গুজরাটে কেটেছে, কিন্তু তার বেশি কিছু সম্ভব নয়, এবং সেই ভোট কাটার পরে তাকে ধরে রাখা আরও অসম্ভব। এরই মধ্যে গুজরাটে নির্বাচিত ৫ বিধায়কের মুখে অন্য স্বর শোনা যাচ্ছে। তারা লক স্টক ব্যারেল বিজেপিতেও চলে যেতে পারে। এবং গুজরাটের পরে আপ এক ভোট কাটুয়া দল, এই পার্সেপশনও তৈরি হচ্ছে। পরের নির্বাচন কর্নাটকে, সেখানকার ফলাফলের পরে আপ-এর কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে ওঠার স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। আসুন আপ-এর ফর্মুলা নম্বর দুইয়ের গন্ডগোলগুলোকে দেখে নেওয়া যাক। ভারতবর্ষ এক বিরাট দেশ, জনসংখ্যায় আর কিছুদিনের মধ্যে সবচেয়ে উপরে থাকবে। আর বৈচিত্র্যে পৃথিবীর যে কোনও দেশকে হার মানাবে। কংগ্রেসের রাজনীতি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে শুরু, মধ্য থেকে বামে গেছে, ডানে গেছে, কিন্তু তার এক রাজনৈতিক অবস্থান আছে, বিলুপ্ত হতে হতেও যা ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে আসে।

অন্যদিকে বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থান আরএসএস-এর দর্শনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি, আরএসএসও যাত্রা শুরু করেছিল সেই ১৯২৫-এ। তারাও বিভিন্ন ওঠানামা পার করে আজ ক্ষমতায়। অন্তত উত্তর ভারতের গোবলয়ে তাদের রাজনৈতিক সামাজিক দখলদারি আছে, অনেকের চেয়ে বেশি আছে। আমাদের দেশের আর এক রাজনৈতিক ধারা হল সমাজতন্ত্রী এবং কমিউনিস্টদের, তাদেরও এক নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান আছে। কাজেই এক শক্তপোক্ত রাজনৈতিক সামাজিক দর্শন ছাড়া হঠাৎ কোনও দল ফ্রি বিদ্যুৎ, শিক্ষা, ফ্রিতে বাসের টিকিট আর কলের জলের কথা বলে বাকিদের সরিয়ে নিজেদের জায়গা করে নেবে, তা সম্ভব নয়। এক পাল্টা শক্তিশালী রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থান দরকার, যা আম আদমি পার্টির নেই। গোটা দেশের মানুষ রোটি কাপড়া মকান বিজলি সড়ক পানি চায় বটে, কিন্তু সেই চাহিদার সঙ্গে এক সামাজিক রাজনৈতিক দর্শনও জরুরি, যা আম আদমি পার্টির নেই। ফর্মুলা নম্বর তিন, নরম বিজেপি হয়ে ওঠা, হিন্দুত্বের প্রশ্নে বিজেপিকে আক্রমণ না করা। এই ফর্মুলা আসলে বিজেপির বি টিম হয়ে ওঠার ফর্মুলা, মানে এক দুর্নীতিমুক্ত বিজেপি গঠনের লক্ষ্য, কিন্তু এ টিম যখন গোলের পর গোল দিয়ে যাচ্ছে, তাদের হিন্দুত্বের স্লোগান যখন অত চড়া তখন কেবল টাকায় গণেশ লক্ষ্মী বসানোর কথা বলে লাভ হবে? গুজরাট দেখিয়ে দিল লাভ হবে না, হেমন্ত শ্যামল সতীনাথের বদলে হেমন্তকণ্ঠী, শ্যামলকণ্ঠী বা সতীনাথকণ্ঠীদের চাহিদা বেশি হতে পারে না। যাঁরা বিজেপির উগ্র হিন্দুয়ানায় মজবেন, তাঁদের কাছে কেজরিওয়ালের নরম হিন্দুত্ব কোনও কাজে দেবে না। উল্টে দিল্লিতে মুসলমান ভোট সরে গেছে আম আদমি পার্টির থেকে, এটাই হবে, আমও যাবে, ছালাও যাবে। বিরোধী ঐক্য, মহাজোট ইত্যাদিকে এড়িয়ে থার্ড ফ্রন্টের চার নম্বর ফর্মুলা সারা দেশে আপকে কি খুব বেশি সুবিধে করে দেবে?

এই থার্ড ফ্রন্টের চেহারা আরও স্পষ্ট হবে যদি কম হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আপ ক্ষমতায় ফিরে আসে। সংসদে বিরোধী বোঝাপড়ার দরকার আছে, বিজেপির আক্রমণের মুখে বিরোধী জোটেরও দরকার আছে, সেটা ওনারা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন, আপ নেতা সঞ্জয় সিং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে হাজির হচ্ছেন। দেশের বিজেপি বিরোধী নেতারা জানেন, কিন্তু তাঁদের বোঝা উচিত যে আনুষ্ঠানিক মহাজোট হোক না হোক, একটা বোঝাপড়া থাকাটা জরুরি। আপ পঞ্জাবের সাফল্যে এই কথা ভুলেছিল, এবারের রেজাল্টের পরে কি তারা আবার আগের জায়গাতেই ফিরবে? ৫ নম্বর ফর্মুলা ছিল মোদির বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রজেক্ট করা। দিল্লি একটা আধা রাজ্য, পঞ্জাব সেই অর্থে মাঝারি রাজ্য, এর উপর ভর করে একটা জাতীয় নেতার মুখ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বরং আরও অনেকের সঙ্গে থেকে দেশের অন্যতম বিরোধী নেতা হওয়াটা সম্ভব, সেটা যত তাড়াতাড়ি কেজরিওয়াল বুঝতে পারবেন, ততই মঙ্গল। কারণ আপ দেশের রাজনীতিতে এক নতুন হাওয়া এনেছিল, ফ্রেশ, শিক্ষিত, মানুষের কাজ করতে চায়, দুর্নীতির থেকে দূরে থাকা দল, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা দল হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতাও গড়ে উঠছিল। এখন তা অন্য পাঁচটা রিজিওনাল দলের মতো এক নেতা সর্বস্য, ক্ষমতা দখলে আপস করে চলা দল হয়ে উঠেছে। তার কোনও ফর্মুলাই আর কাজে দিচ্ছে না। দিল্লি নির্বাচনে দারুণ কিছু না করে দেখালে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বাদই দিলাম, দলের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি হবে। আর রাজনৈতিক সমীক্ষকরা ভালো করেই জানেন আঞ্চলিক দলের পতন শুরু হলে তা থামানোর কোনও ওষুধ কিন্তু নেই। বিজেডি বা জগন রেড্ডির দল বা বিআরএস-কে দেখে এই শিক্ষা নেওয়াটা খুব জরুরি।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
India-Pakistan | জলের জন্য কাঁদছে পাকিস্তান, ভারতকে চার বার চিঠি, কী সিদ্ধান্ত দিল্লির?
01:26:05
Video thumbnail
Mahua Moitra | বিয়ের পর মহুয়া মৈত্রর এই ভিডিও দেখলে আপনিও খুশি হবেন...
02:42:31
Video thumbnail
South 24 Pargana | কোটিপতি চোর, জানার পর কী করল পুলিশ? দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
01:51:56
Video thumbnail
Weather Update | ফের গরম বাড়বে? দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে বর্ষা? দেখে নিন বড় আপডেট
02:07:50
Video thumbnail
Anubrata-Kajal | বীরভূমে ফের কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব? দেখুন এই ভিডিও
01:08:01
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবর, দেখুন একনজরে সরাসরি
03:51:50
Video thumbnail
Donald Trump | Elon Musk | সরকারে মাস্কের কন্ট্রাক্ট নিয়ে বি/স্ফোরক ট্রাম্প
03:22:35
Video thumbnail
Sheikh Hasina | ফের সরাসরি বক্তব্য রাখছেন হাসিনা, কী বলছেন শুনুন
03:02:26
Video thumbnail
Sheikh Hasina | এই প্রথম সরাসরি বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা, দেখুন Live
03:04:05
Video thumbnail
Dilip Ghosh | Suvendu Adhikari | দিলীপের প্রত্যাবর্তন, চাপে শুভেন্দু?
00:42