পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি পেতে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা। শুধু তাই নয়, সেই টাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই মাটির বাড়ি ভেঙ্গে শুরু হয়েছে পাকা বাড়ি বানানোর কাজ। কিন্তু এরইমধ্যেই ঘটল বিপত্তি। সেচ দফতরের তরফ থেকে হঠাৎই এল সরকারি উচ্ছেদ নোটিস! যার ফলে পাকা ঘর বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও এই পরিস্থিতে জায়গা ছাড়ার নোটিশে ঘুম উড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ নম্বর ব্লকের চাঁচাই নীলকুঠি ক্যানেল বাঁধ এলাকার বাসিন্দাদের।
সেচ দফতরের ওই নোটিশে স্পষ্টত লেখা আছে, ‘‘আপনারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ দফতরের অন্তর্গত দামোদর লেফট বাঁধের উপর সরকারি জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ করেছেন। এর ফলে দামোদর লেফট বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আপনাদের ১৫ দিনের মধ্যে নিজেদের অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’
আরও পড়ুন: আসানসোলের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলায় গ্রেফতার চার
মেমারি ১ নম্বর ব্লকের এই বাসিন্দাদের নোটিশ জারি করা হয় ২৩ জানুয়ারি।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলকুটি ক্যানেল বাঁধ এলাকায় এবার ৭০ জন উপভোক্তার আবাস তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয়েছে। আর এই ৭০ জনের মধ্যেই বহু উপভোক্তা সেচ দফতরের এই নোটিশ পেয়েছেন। আর তারপর থেকেই আবাসের আওতায় ঘর বানানো নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জটিলতা।
এই বিষয়ে দলুইবাজার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ধীমান বিশ্বাস তিনি বলেন, ” এখানে সেই ৭১ সাল বা তার পর থেকে মানুষজন বাস করছেন। তারা সবাই বাংলাদেশ থেকে উদবাস্তু হিসেবে এখানে পাট্টা পান।তবে সবার পাট্টার কাগজ নেই। এরা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। এখন সরকারি নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ করার কথা বলা হচ্ছে। এই মানুষ গুলো এখন কোথায় যাবে।এর আগে অনেকেই এখানে ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন। পরে প্রকল্পের নাম বদল হলে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পান।এখন পেয়েছেন আবাস যোজনার ঘর।”
তবে এবার প্রশ্ন, এতদিন ধরে তারা সরকারি এলাকায় বসবাস করছেন তারপরেও কেন তাদের বিরুদ্ধে এতদিন নোটিশ জারি করা হয়নি? সুধু তাই নয়, সরকারি জায়গায় বসবাসকারী বাসিন্দারা কিভাবেই বা আবাসের তালিকায় ঠাঁই পেলেন?
দেখুন অন্য খবর