অর্পণ ঘোষ, কলকাতা: ইংল্যান্ডকে হারাতে ভারতের (India vs England 1st T20I) লাগল ৭৭ বল। সৌজন্যে বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণি এবং অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ৩৪ বলে ৭৯ রান। ৫টা চার আর ৮টা ছয়ে অভিষেকের ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩২.৩৫। এই ইনিংসের পর বিপক্ষ টিমের লড়াই করার মতো কিছু থাকে না জস বাটলারের ইংল্যান্ডের হলও সেটাই। ইডেন ম্যাচে জয়ের পর ভারত ৫ ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
ডিউ ফ্যাক্টর। এই একটা বিষয় ভাবাচ্ছিল দুই টিমকেই। তাই টসে জিতলে বোলিং নেওয়াটাই স্বাভাবিক। আর ভারত টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায়। যেটা স্বাভাবিক।
জাম্প কাট
ভারতের সিদ্ধান্ত একদম সঠিক হয়। শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রেখেছিল ভারত। প্রথমেই অর্শদীপ সিং ফিল সল্টকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা দেয়। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন ভারতীয় হিসাবে টি-২০তে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকের নজির। নিজের পরের ওভারে বল করতে এসেই আউট করেন বেন ডাকেটকে। তারপরই টি-২০তে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া ভারতীয় হিসাবে নজির গড়েন পাঞ্জাবের পেসার। অর্শদীপের জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকে বিপাকে ফেলেন ভারতের স্পিন ত্রয়ী। তিন উইকেট তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। জোড়া উইকেট অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে। কোনও উইকেট না পেলেও আঁটোসাঁটো বোলিং করেন রবি বিষ্ণোই। কোনওমতে ২০ ওভারের শেষে ১৩২ পর্যন্ত পৌঁছয় ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন একমাত্র অধিনায়ক জস বাটলার। আইপিএলে নিয়মিত খেলে ভারতের মাঠ তাঁর পরিচিত। ইডেনে বাটলারের খেলতে কোনও সমস্যা হয়নি। তিনি ছাড়া বাকি সকল ইংরেজ ব্যাটারকে দেখে মনে হল তাঁরা অন্য পিচে খেলছেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান লেখা জার্সি পরে খেলবেন রোহিতরা?
অন্যদিকে, চোট সারিয়ে দলে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করতে পারলেন না শামি। তাঁর পরিবর্তে দলে নেওয়া হয় অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে। আর এই ম্যাচে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন বরুণ চক্রবর্তী।
অন্য খবর দেখুন
