কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) জন্মদিনে তাঁর মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ করে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার আইনি জটিলতায় পড়তে চলেছেন এই কংগ্রেস নেতা। কারণ এবার তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুর থানায় (Bhowanipur Police Station) এফআইআর (FIR) দায়ের করল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha)। রবিবার রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। একইসঙ্গে নেতাজিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতার নেতাজি ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হিন্দু মহাসভা।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে রাহুল গান্ধী একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন, যেখানে ১৮ই আগস্ট, ১৯৪৫ দিনটিকে তিনি নেতাজির মৃত্যুদিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও (Priyanka Gandhi) এতে সহমত প্রকাশ করেন। নেতাজির মৃত্যুর বিষয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক এবং অমীমাংসিত অবস্থার প্রেক্ষিতে রাহুলের এই মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
महान क्रांतिकारी, आज़ाद हिंद फौज के संस्थापक नेताजी सुभाष चंद्र बोस जी की जयंती पर उन्हें भावपूर्ण श्रद्धांजलि।
नेताजी का नेतृत्व, साहस, सामाजिक न्याय के लिए उनका संघर्ष, सहिष्णुता और समावेशिता के प्रति उनका योगदान आज भी हर भारतीय को प्रेरित करता है।
भारत माता के अमर सपूत को… pic.twitter.com/Fa2CTUu9BL
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 23, 2025
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল এই গ্রামে, কেন জানেন?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদে সরব হয় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। চন্দ্রচূড় গোস্বামী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “রাহুল গান্ধীর শরীরে যাদের রক্ত বইছে, তারাই নেতাজিকে প্রথমে দলছাড়া এবং পরে দেশছাড়া করেছিলেন। নেতাজিকে এবং তাঁর আদর্শকে এই দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন রাহুলের পূর্বপুরুষরা।” তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে কেউ যদি নেতাজিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করে, তার বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। রাহুল গান্ধীকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য ভারতবাসী উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।”
প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন নিয়ে বহু দশক ধরে রহস্য ঘনিয়ে রয়েছে। ঐতিহাসিক এবং গবেষকদের একাংশ দাবি করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট তাইপেহে এক বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি এবং বছরের পর বছর লুকিয়ে ছিলেন। যদিও উভয় সম্ভাবনার স্বপক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলেনি।
দেখুন আরও খবর: