নয়াদিল্লি: কোনওরকম ব্যক্তি স্বাধীনতা বা মৌলিক অধিকার (Fundamental Right) লঙ্ঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতই (Apex Court) হচ্ছে একমাত্র রক্ষক। কেন্দ্রের শাসক দলকে শুক্রবার যেন এই বার্তাই দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI)। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টকে উপদেশ দেওয়ার সুরে জানিয়ে দেন, জামিনের আবেদন বা তুচ্ছ কারণে রুজু হওয়া জনস্বার্থ মামলা শীর্ষ আদালতে শুনানির জন্য গ্রহণ করা সঠিক নয়।
আর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানিতে পাল্টা বক্তব্যে জানতে চাইলেন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন হলে যদি হস্তক্ষেপ বা সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা না করতে পারেন, তা হলে তাঁরা আদালতে কি জন্য আছেন?
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টে একটি জামিনের আর্জি শুনছিলেন। বৈদ্যুতিক যন্ত্র চুরির অপরাধে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির তিন বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ (Court Order) অনুযায়ী আরও তাঁর ১৫ বছর জেল খাটা বাকি। যদিও মূল মামলায় তাঁর দুবছরের জেল হয়েছে। কিন্তু আলাদা ভাবে নয়টি অভিযোগের জন্য তাঁর কারাবাসের মেয়াদ বেড়ে হয়েছিল আঠারো বছর।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (Kiren Rijiju) বারংবার বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম (Collegium) ব্যবস্থার সমালোচনা করে চলেছেন। প্রায় সত্তর হাজার পুরানো মামলা জমে থাকার জন্যও বিচারপতি নিয়োগের সমস্যার দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। এত বিস্তর মামলা জমে রয়েছে বলে রিজিজু মনে করেন, জামিনের আর্জি, তুচ্ছ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজন নেই।
প্রধান বিচারপতি শুক্রবার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোনও মামলাই তুচ্ছ নয়। তাঁর বক্তব্য, “যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার (Personal Liberty) বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করি, সুরাহা না খোঁজার উদ্যোগ নিই, তা হলে এখানে কী করার জন্য আছি? শীর্ষ আদালত যদি কিছু না করে সেটা কি সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন নয়? এই ধরনের আবেদনকারীর আর্জি শোনার জন্যই সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। আমরা এহেন অনেক মামলার জন্যই বিনিদ্র রাত কাটাই।”