রায়পুর: ফের শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া। তবে এবার দিল্লি নয়। ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) বিলাসপুর জেলার সাক্রি থানা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নৃশংস খুনের বিভীষিকায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। এই বীভৎস ঘটনার মতোই আরও এক হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। শ্রদ্ধাকে খুনের কায়দাতেই স্ত্রীকে (Wife) খুন (Murder) করে করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে, বাড়ির একটি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। অবশেষে ধরাও পরে যায় অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে উসলাপুরের এক বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে এক মহিলার পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মৃতদেহটি প্রায় ১ থেকে ২ মাস পুরোনো। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলার নাম সতী সাহু। স্বামীর নাম পবন সিং ঠাকুর। অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীয়ের সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত পবন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তিও লেগে থাকতো। সেই সন্দেহ যে এভাবে একটা প্রাণ কেড়ে নেবে সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। পুলিশ আরও জানায়, রাগের বশে পবন সিং ঠাকুর তার স্ত্রীকে খুন করে এবং পরে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে তার দেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
কয়েকদিন যেতে না যেতেই দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। প্রতিবেশিরা সেই দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাক্রি থানার পুলিশ। জলের ট্যাঙ্ক থেকে ওই মহিলার পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পবন সিং ঠাকুরকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ একটি হত্যার মামলা নথিভুক্ত করেছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।